সুব্রত বিশ্বাস: আধ ঘণ্টা থেকে চল্লিশ মিনিট লেট ট্রেন। হাওড়া (Howrah) স্টেশনে রাতের এই রোজনামচায় ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। তার উপর প্রতি রবিবার নিয়ম করে ট্রেন বাতিলের (Late) হিড়িক। হাওড়া থেকে আজও মোট আটটি ট্রেন বাতিল। ৬ টি ট্রেন অনিয়মিত বলে পূর্ব রেল জানিয়েছে। শিয়ালদহের (Sealdah) অবস্থাও একই। রোজ রাত বাড়লে অনিয়মিত হয়ে পড়ে ট্রেন চলাচল। আধঘণ্টারও বেশি দেরি করে ছাড়ে লোকাল ট্রেনগুলি। এখনই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে রেল। আশ্চর্যের বিষয় হলেও ট্রেন লেটের জন্য দায়ী করা হচ্ছে ঘনঘন ট্রেন চলাচলকে!
হাওড়ার সিনিয়র ডিভিশনাল অপারেশন ম্যানেজার রাজীব রঞ্জন জানিয়েছেন, ৪৬-৪৭টি রেক ৪৬২ বার সার্ভিস (Service) দেয় বিভিন্ন শাখায়। একটি রেক গড়ে সাত থেকে আটবার চলে। ফলে একটা ট্রেন একবার বিলম্ব করলেই সেটি পরে যতবার চলবে, একই অনুপাতে লেটেই চলবে। রক্ষণাবেক্ষণ, ব্লক নেওয়া ও প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম হওয়ায় সমস্যা বেড়েছে। সামধানেরও পথ বন্ধ প্রায়। রাজীব রঞ্জনের কথায়, ট্রেন চলাচলে শৃঙ্খলার অভাব রয়েছে। ব্যস্ত সময়ে পাঁচ-সাত মিনিট অন্তর ট্রেন। কম সময়ে এত ট্রেন চলার ফলে সমস্যা। পথে নানা সমস্যার পাশাপাশি ট্রেন স্টেশনে থেমে থাকে। তাঁর হিসেব অনুযায়ী, ৩০ সেকেন্ডে যাত্রী ওঠা-নামা করতে পারলে সময় সাশ্রয় হত। কিছুটা সময়মতো চলত।
[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গলদ! প্রায় দুবছর পরে সাসপেন্ড ৭ পুলিশ অফিসার]
তিনি স্পষ্ট করেন, এই অবস্থা কাটাতে একমাত্র পথ ট্রেনের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া। ২০ মিনিট বা আধঘণ্টা পরপর ট্রেন চালালে তা নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে পারবে। তবে নতুন নতুন ট্রেন চালু হওয়ায় সেই সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। ফলে সমস্যার স্থায়ী সমাধান এখনই সম্ভব নয়। এছাড়া হাওড়া স্টেশনের ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মটি ৩০০ মিটারের। সেটি নতুন করে সম্প্রসারিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কাজ শেষ হলে তাতে কিছু দূরপাল্লার ট্রেন দেওয়া সম্ভব হবে। ফলে অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম থেকে লোকাল ট্রেন চলাচলে সুবিধা হলেও হতে পারে।