ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: কোভিডের (COVID-19) প্রথম ধাক্কা সামলাতে কলকাতা ও দক্ষিণ শহরতলির সংলগ্ন এলাকার জন্য ঠেলে দেওয়া হয়েছিল এমআর বাঙ্গুর (M R Bangur Hospital) হাসপাতালকে। ২০২০ সালের প্রায় গোড়া থেকে কোভিড হাসপাতালের তকমা পাওয়া বাঙ্গুর হাসপাতাল সেই থেকেই করোনা যুদ্ধে নিরন্তর কাজ করে চলেছে। বহু মানুষকে সুস্থ করেছে, কত মরণাপন্ন রোগীকে জীবনের পথে ফিরিয়েছে – তার হিসেব নেই। এবার এই সব কাজেরই স্বীকৃতি পেল বহু পরিচিত সরকারি হাসপাতাল এম আর বাঙ্গুর। দেশের সেরা জেলা হাসপাতালের মুকুট উঠল তার মাথায়। নীতি আয়োগের (Niti Ayog) তরফে সদ্যই এই স্বীকৃতির চিঠি এসে পৌঁছেছে স্বাস্থ্যদপ্তরের হাতে। এমন অভাবনীয় সাফল্যে স্বভাবতই খুশি সকলে।
মহামারী কালে সীমিত পরিকাঠামো নিয়েও রোগীর চাপ সামলেছে বাঙ্গুর হাসপাতাল। রোগীকে অন্যত্র রেফার করা কিংবা ফিরিয়ে দেওয়ার মতো অভিযোগ প্রায় ছিল না টালিগঞ্জের এই সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। সংক্রমণ এড়াতে কোভিড ওয়ার্ডকে হাসপাতাল চত্বর থেকে একেবারে পৃথক করে রাখা হয়েছিল। এমনই বেশ কিছু অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করে কাজ চলেছে বাঙ্গুরে। এখানে CCU, ICU, SDU-সহ সাতশোরও বেশি ওয়ার্ডে কাজ করেই এখানকার সাফল্যের হার ৯৮ শতাংশের বেশি। যা এক জেলা হাসপাতালের তুলনায় অনেকটা কঠিন।
[আরও পড়ুন: সাতসকালে বিদ্যাসাগর সেতুতে দুর্ঘটনা, বাইক চালককে পিষে দিয়ে গেল বাস]
নীতি আয়োগের তরফে এসব উল্লেখ করে বাঙ্গুর হাসপাতালের ভূয়সী প্রশংসা করে চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরে। কেন্দ্রের এই স্বীকৃতিতেই স্পষ্ট, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা যথেষ্ট উন্নত। এর আগে করোনা কালে ভাল পরিষেবার জন্য কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের প্রশংসা কুড়িয়েছিল বেলেঘাটা আইডি (Beleghata ID) হাসপাতাল। এটিও সরকারি হাসপাতাল। গত বছর কলকাতার করোনা চিকিৎসার পরিকাঠামো দেখতে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। বেলেঘাটা আইডি ঘুরে দেখে তাঁরা সন্তুষ্ট হন। দিল্লি ফিরে ভাল রিপোর্ট দেন। আর ২০২১এ কেন্দ্রের প্রশংসা পেল এম আর বাঙ্গুর। নিঃসন্দেহে রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এটি বড় সাফল্য।