ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: কারও সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সংগঠন চালাচ্ছেন ইচ্ছেমতো। মর্জিমাফিক রদবদল করছেন। এমনটা চললে সংগঠন চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে দায়িত্বে থাকা স্থানীয় বিধায়কদের। কৃষ্ণনগরের সাংসদ তথা জেলা সংগঠনের সভানেত্রী মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন নদিয়ার ৬ বিধায়ক। সোমবার বিধানসভায় দেখা হতেই মহুয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি মমতার কাছে নালিশ জানালেন তাঁরা। তার জবাবও অবশ্য পেলেন। শুনেই মমতা সাফ জানিয়ে দিলেন, ''এখন নয়, জেলাওয়াড়ি বৈঠক যখন হবে, তখন এনিয়ে যা বলার বলব।''
দিন চারেক আগেকার কথা। গত ৫ ডিসেম্বর কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রর 'খামখেয়ালিপনা'র বিরুদ্ধে ৬ বিধায়ক সরব হন। তালিকায় কৃষ্ণনগর দক্ষিণের উজ্জ্বল বিশ্বাস, নাকাশিপাড়ার কল্লোল খাঁ, চাপড়ার রুকবানুর রহমান, করিমপুরের বিমলেন্দু সিংহরায়, পলাশিপাড়ার মানিক ভট্টাচার্য, কালিগঞ্জের নাসিরুদ্দিন আহমেদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই জেলা সংগঠনের সভানেত্রী মহুয়া সম্প্রতি ১৭৮ জন বুথ সভাপতি আর ১৭ জন অঞ্চল সভাপতিকে বদলি করেছেন। উলটে যাঁদের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ, তাঁদের সামনে আনা হচ্ছে। এমনটা চলতে থাকলে সুস্থভাবে সংগঠনের কাজ চালানো তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে বক্তব্য কল্লোল খাঁ, উজ্জ্বল বিশ্বাসদের।
এই পরিস্থিতিত সোমবার বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সরাসরি নালিশ জানান ৬ বিধায়ক। জেলা সংগঠনের সভানেত্রীর পদ থেকে মহুয়াকে সরানোর দাবিও ওঠে। কিন্তু এই মুহূর্তে এসব নালিশকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, ''এ নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার, যখন জেলাওয়াড়ি বৈঠক হবে তখনই যা বলার বলব।'' অর্থাৎ এখনই নিজের আস্থাভাজন মহুয়াকে নিয়ে অভিযোগকে আমল দিতে নারাজ দলনেত্রী।