গৌতম ব্রহ্ম: পুকুর চুরি! না, ঠিক পুকুর চুরি নয়। বরং পুকুরে চুরি। সেটাই নাকি ব্যাপক হারে চলেছে রাজ্যে। আর এই চুরি এতটাই উদ্বেগজনক যে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রীদের ডেকে এই চুরি রুখতে উচ্চস্তরীয় কমিটি গড়তে হচ্ছে।
বুধবার মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে আলোচনা হয়েছে এই পুকুরে চুরি নিয়ে। আসলে রাজ্যের সব প্রান্তেই কম বেশি বহু সরকারি পুকুর (Government Pond) রয়েছে। এই পুকুরগুলি সরকারি জমিতে, সরকারের মালিকানাধীন। সেই পুকুরগুলিতে দেদার মাছ চাষ হচ্ছে। তা থেকে প্রচুর টাকাও আসছে। সমস্যা হল, এগুলি থেকে সরকারের কোনও লাভ হচ্ছে না। কারণ, ওই পুকুরে যারা মাছ চাষ করছেন, তাঁরা সরকারের অনুমতিও নিচ্ছেন না, সরকারকে লভ্যাংশের ভাগও দিচ্ছেন না। নিজেদের মতো করে মাছের চারা ছাড়ছেন। আবার নিজেদের মতো কর মাছ তুলেও নিচ্ছেন। রাজ্য সরকার একটা টাকাও পাচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: ‘গরিবের রেশন ছিনিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র, পাপ করছে কংগ্রেস’, তোপ মোদির]
মুখ্যমন্ত্রী এই পরিস্থিতির বদল চান। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ৩ মন্ত্রীকে দিয়ে উচ্চস্তরীয় একটি কমিটি গড়ে দিয়েছেন তিনি। তাতে রয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovondeb Chatterjee), মানস ভুঁইয়া এবং বিপ্লব চক্রবর্তী। এই তিন মন্ত্রীর কাজ হবে রাজ্যের সব সরকারি পুকুরে সমীক্ষা করা। সেই পুকুর থেকে কীভাবে রাজ্যের কোষাগারে লভ্যাংশ আনা সম্ভব সেটা খতিয়ে দেখা।
[আরও পড়ুন: ‘এত ভয় কীসের!’, মোদি-আদানির বিরুদ্ধে নয়া ‘ষড়যন্ত্রে’র অভিযোগ মহুয়ার]
জানা গিয়েছে, ওই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ করবে সরকার। কোন কোন পুকুর থেকে রোজগার বাড়ানো যাবে। মাছ চাষ বাদে আর কীভাবেই বা ওই পুকুরগুলো থেকে রোজগার বাড়ানো যাবে, সেটাও ভেবে দেখা হচ্ছে।