সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জল চুরি রুখতে কড়া রাজ্য। বেনিয়ম আটকাতে জলস্বপ্ন প্রকল্পে আগাম টাকা দেওয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানালেন, কাজ শেষে রিপোর্ট পেশ না করা পর্যন্ত কোনও টাকা দেওয়া হবে না। পাশাপাশি এক ঠিকাদারকে কেন একাধিক বরাত, তা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন। রীতিমতো ধমক দিলেন আধিকারিকদের। শোকজ করা হয়েছে ২৩ জনকে।
কল আছে, জল নেই! এই অভিযোগ উঠছিল দীর্ঘদিন ধরেই। সোমবার PHE দপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে জলস্বপ্ন প্রকল্পের কাজ নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ১১ হাজার ২০০ অভিযোগ জমা পড়েছে। ৫০০ এফআইআর হয়েছে। এর পরই পিএইচই দপ্তরের আধিকারিকদের রীতিমতো ধমক দিলেন তিনি। প্রশ্ন তুললেন, কেন একজন ঠিকাদারকে একাধিক বরাত? কেন নিয়োগ করা হয়নি পাম্প অপারেটর? এর পরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জল উঠবে না জেনেও একাধিক জায়গায় কল বসানো হয়েছে। কেন? প্রশ্ন তুললেন তিনি। একাধিক আধিকারিক ঠিকাদারদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করলেন তিনি।
এহেন একাধিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই জলস্বপ্ন প্রকল্পের টাকা নিয়ে কড়া পদক্ষেপের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। সাফ বলেন, এর পর থেকে কাজ শেষে রিপোর্ট পেশ করলে তার পরই মিলবে টাকা। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কারচুপি প্রকাশ্যে আসতেই পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। ২৩ জন আধিকারিকের পাশাপাশি ৩৭৩ ঠিকাদার সংস্থাকে শোকজ করা হয়েছে। এদিন বৈঠকে একাধিক জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেন। জিজ্ঞেস করেন, কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। জেলাশাসকরা জানান, পরিদর্শন হয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে যত দ্রুত সম্ভব প্রকল্পের কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।