নেতাজি ইন্ডোরে বিএলএদের নিয়ে বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসআইআর আবহে এই বৈঠক যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কী বার্তা দেবেন মমতা, সেদিকে নজর সকলের। বৈঠকের খুঁটিনাটি তথ্যের জন্য নজর রাখুন
লাইভ আপডেটে।
দুপুর ১.২০: 'জয় বাংলা' স্লোগানে সভা শেষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
দুপুর ১.১৮: মমতার হুঁশিয়ারি, "কোথাও ৭২ হাজার বাদ, আমাদের ভবানীপুরে ৪৪ হাজার বাদ! ভেবেছেন বাদ দিয়ে হারাবেন? তাতেও লড়ে নেব। হারবেন আপনারা।"
দুপুর ১.১০: দিল্লি কেড়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, "তৃণমূল জোড়াফুল আমাদের হৃদয়। সেই হৃদয়কে আমরা বিক্রি করতে দেব না। লড়তে হবে। লড়ে ওদের ক্লান্ত করে দিতে হবে। ওরা থাকুক দেওয়ালে, তৃণমূলকে রাখুন খেয়ালে। বাংলা জিতলে দিল্লি কেড়ে নেব। বাংলাকে অসম্মান করতে গিয়ে নিজের কিছু হঠব। কেউ বিজেপিকে ভোট দেবেন না। বাংলায় কোনও সিএএ ক্যাম্প হবে না। এসআইআর আপনাদের টোটাল ব্লান্ডার।"
দুপুর ১.০৯: দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মমতার (Mamata Banerjee) বার্তা, "আমার জীবন আমার সংগ্রামকে সম্মান জানান তাহলে ওদের জিরো করে দিন। এই লড়াই করতে হবে। এই সাম্প্রদায়িকতা বিসর্জন দিন। ২৬ এর নির্বাচন বিজেপির বিসর্জন। বিজেপির দালালদের বিসর্জন। SIR অসমে কেন হল না, মেঘালয়ে কেন হল না, মণিপুরে কেন হল না? মতুয়ারা ভয় পাবেন না আমি আছি। সব সম্প্রদায়ের মানুষ সংঘবদ্ধ হোন। নোটবন্দিতেও গেছিল, ভোটবন্দিতেও যাবে। বিজেপির টাকার কাছে আত্মসমর্পণ করব না, কমিশনের কাছে মাথানত করব না। আম্বেদকর যে অধিকার দিয়ে গেছে তার বেশি আমি কাউকে মানি না।"
দুপুর ১.০৮: কাউন্সিলরদের কড়া বার্তা, "কেউ কেউ দায়িত্ব নিচ্ছেন না। কাজ করছেন না। আরও দায়িত্ব নিতে হবে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে জানতে হবে কাদের নাম বাদ গিয়েছে।" AI দিয়ে কারচুপির আশঙ্কা প্রকাশ করেন মমতা।
দুপুর ১.০৭: আসন্ন বিধানসভা ভোটের সুর বেঁধে দিয়ে মমতা বলেন, "কেন অস্ট্রেলিয়া, কেন কানাডা, কেন দুবাই? এত মানুষ মারা গেল তাদের ঠিক নেই? আর কত যাবে বাংলার সম্মান? কোটি আর বিশ্বকবি, বিদ্যাসাগর, গন্ধিজিকে অসম্মানিত হতে হবে? বাংলা ভাষার অস্মিতাকে অসম্মানিত হতে হবে? এর জবাব চাই, বাংলায় বিজেপিকে পা রাখতে দেওয়া যাবে না। আমি বিশ্বাস করি নেতারা পারবে না, কর্মীরা পারবে। টাকার কোনও দাম নেই, জীবন দিয়ে যেটা সঞ্চয় করবেন সেই কর্মের দাম থাকবে।"
দুপুর ১.০৩: সোমবার দুপুর তিনটেয় নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, পুলক রায়, পার্থ ভৌমিক এবং বাপি হালদাররা।
দুপুর ১.০২: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, "সব টাকা বন্ধ করে এখন বলছে বহুত রুপিয়া হে। তাহলে অল্প করে দেন কেন? তাও বলবেন বাইক থাকলে পাবে না, টিভি থাকলে পাবে না। কেন? আপনার বাড়িতে সব থাকবে? এদের কিছু থাকবে না?কমিশন তো লিমিটলেস দালালি করছে।"
দুপুর ১.০১: রাজ্যে বহিরাগতরা ঢুকেছে বলেই আশঙ্কা মমতার (Mamata Banerjee)। তাঁর দাবি, "কাল বিহার থেকে অনেক বাইক নিয়ে লোক ঢুকেছে। ডবল বুলেট নিয়ে কাজ করবে।"
বেলা ১২.৫৬: নেতাজি ইন্ডোরে মাইক্রোফোনের সমস্যায় বেজায় চটলেন মমতা। বললেন, "মাইক কাজ করে না কেন ইন্ডোরের? আমি কিন্তু এবার অ্যাকশন নেব। এটা আপনাদের দায়িত্ব। পুলিশ কী করে? দেখে না কেন? পার্টির লোক যাঁরা থাকেন তাঁরাই বা কেন সাহায্য করবেন না? এটা অন্তর্ঘাত হচ্ছে না তো? প্রত্যেকদিন এই সমস্যা কেন হবে?"
বেলা ১২.৫০: শাহকে মমতার তোপ, "এইরকম অপদার্থ হোম মিনিস্টার দেখিনি। স্বৈরাচারী, দুরাচারী। বাকি শব্দ তোলা থাকল। তিনি কন্ট্রোল করছেন। তিনিই প্রধানমন্ত্রীকে কন্ট্রোল করছেন। দাঙ্গাকারীরা যদি দেশ চালায় তাহলে কী হবে বুঝুন। গান্ধীজির নাম বাদ দিয়ে রাম নাম? দেশটাকে রাম নাম সত্য হে করে দিচ্ছে।"
বেলা ১২.৪৫: স্পেশাল অবজার্ভার নিয়ে প্রশ্ন তুলে মমতা বলেন, "BLO-রা এখানকার লোকাল এত ভাষা কী করে জানবে? ফলে অনেক ভোটারকে ম্যাপিং করেনি। আর ছিল সিপিএম। মার্কামারা নাম। তৃণমূল করলেই নাম বাদ। মানুষ ক্ষমা করবে না। এখন আবার বিজেপির দালালি করছে। ১৬ তারিখ থেকে হিয়ারিংয়ের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। ২০ তারিখ নির্দেশ এল আবার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা হিয়ারিং করবে। এরা লোকাল ভাষা বোঝে? এরা না বোঝে বাংলা, না বোঝে মতুয়া, না বোঝে কামতাপুরী, না বোঝে নেপালি। এরা নাকি হিয়ারিং করবে! এদের ইয়ার রিং দিয়ে দিন, হিয়ারিং এড। আবার একজন করে স্পেশাল অবজারভার। বিএলও বাথরুমে গেলেও পিছন পিছন যাবে।"
বেলা ১২.৪০: বাংলায় থাকা বিহারবাসীদের উদ্দেশে মমতার বার্তা, "বিহারে ভোট না দিলে সম্পত্তির অধিকার দেবে না। ভুল। আপনারা যদি ওখানে ভোট না দেন, এখানে থাকেন, কাজ করেন, তাহলেও কেউ অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না। বাংলায় থাকতে চাইলে ভোটার লিস্টে নাম তুলুন, বিহার থেকে নাম কাটুন।"
বেলা ১২.৩৩: বিজেপি ও কমিশনের আঁতাঁতের অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, "২৪ বার নির্দেশিকা বদলেছে। তোমরা কালপ্রিট, বিজেপি কালপ্রিট।পরিবারতন্ত্র করতে গিয়ে দেশ ভাসিয়ে দিচ্ছ। তোমরা কী জানো ভোট সম্পর্কে হরিদাস? ২০০২ সালের তথ্য অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে। নাম, ক্রমিক সংখ্যা খোঁজার জন্য উপায় নেই। ফলে বহু ভোটারকে হয়রান হতে হচ্ছে। এপিক নম্বর দিয়ে খুঁজে বের করার উপায় এতদিন ছিল না। ২০০২-এর নম্বরের সঙ্গে ২০২৫-এর নম্বরের সামঞ্জস্য নেই? এটা ক্রিমিনাল অফেন্স না? আন প্ল্যান্ড, অটোক্রেসি। খোকাবাবুরা দিল্লির লাড্ডু খেয়েও সন্তুষ্ট হয়নি। বাংলার রসগোল্লা আছে। যা বিজেপি অফিস থেকে বলা হচ্ছে তাই করছে কমিশন। একজন অফিসার আছে যে নামের তালিকা বিজেপি যা পাঠাচ্ছে সেগুলো বাদ দিচ্ছে। এরকম নির্লজ্জ কমিশন দেখিনি।"
বেলা ১২.৩২: দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মমতার বার্তা, "এবার কোনও পিকনিক হবে না। সব হবে একেবারে ২০২৬ এ জেতার পর। কর্মীরা দেখুন, নেতারা বুঝে নিন।"
বেলা ১২.৩১: বঙ্গবাসীর হেনস্তায় ক্ষুব্ধ মমতা আরও বলেন, "বাংলা আর ইংরেজিতে তফাৎ আছে। এই দুই ভাষা আলাদা হওয়ায় ম্যাপিং মিসম্যাচ করবে।"
বেলা ১২.৩০: কমিশনকে মমতার তোপ, "একটা জায়গা থেকে আরেকটা জায়গায় ভোটার চলে গেছে। এগুলো মনে রাখুন। অনেকে চলে গেছেন অন্য জায়গায়। কিন্তু প্রত্যেকে জেনুইন। কেউ 'A' লিখতে গিয়ে 'আ' লিখেছে। তোমরা কলকাতায় ভোটার লিস্ট করেছ ইংরেজিতে। একটা মহল্লা, কলোনির মানুষ, হকার তোমার ইংরেজি বুঝবে কী করে? ধরুন বাংলায় একতা। কেউ ইংরেজিতে 'এ' লেখে, কেউ 'আ' লেখে। তার জন্য আত্মহত্যা করল। এর দায় তোমাদের নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। নাম মিলছে না বলছে। তখন ইনস্টিটিউশন ডেলিভারি কত ছিল? ওরে গর্ধবের দল। নিজের ইচ্ছেমতো বয়স বসিয়েছে। কতজন স্কুলে পড়ত? সার্টিফিকেট কতজনের আছে? আমার বাবা মা র জন্ম বাড়িতে। তাদের নেই। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ পারবেন? ফেক ডুপ্লিকেট বানিয়েছেন। এই বদলগুলো হয়েছে বলে বাতিল! বিএলএ আর বিএলএ ২ বড় দায়িত্ব বুঝে নিন।"
বেলা ১২.২৮: নির্বাচন কমিশনকে দুষে মমতা বলেন, "২০০৪ এ লোকসভা ছিল। ডিলিমিটেশন তার পর। সেটা মনে আছে? একটা ভোটার আরেকটায় চলে গেল। আগে ছিল আলিপুর। এখন ভবানীপুর। নতুন নতুন ওয়ার্ড ঢুকল। ম্যাপিং টাই তো ভুল। এটা ডেড ব্লান্ডার।"
বেলা ১২.২০: সীমানা নির্ধারণ ইস্যুতে মমতার তোপ, "আগে ১০০ টা ওয়ার্ড ছিল কলকাতায়। ২০০৯ এ দিলিমিটেশন হল। বিজেপির ভ্যানিশবাবুরা বিএলও-দের ট্রেনিং দিয়েছেন? বিজেপি কমিশন তৈরি করেছে। আমার কাঁচকলা করবেন। গলা কেটে দিলেও বলব মানুষের কথা। বাংলা না থাকলে দেশ থাকবে না।"
বেলা ১২.১৯: বিজেপিকে মমতার হুঙ্কার, "বাংলাকে জব্দ করতে চাইছে, ওদের স্তব্ধ করব। বিজেপি রইল পিছুর টানে, কাঁদবে তুমি কাঁদবে। আমরা যা লক্ষ্য করলাম ১.৫ কোটি নাম বাদ দিতে হবে। বিজেপি খোকাবাবুদের আবদার। হাত ঘুরিয়ে নারু পাব। বাংলাকে দখল করব। অসম্মান করব, বাংলার ইতিহাস ভুলিয়ে দেব। চালাকি! চালাকি দিয়ে মহৎ কাজ হয় না।"
বেলা ১২.১৮: "BLO-দের দোষ নয়। কিন্তু দেখছিলাম কেন্দ্রীয় সরকারের বিএলও লাগিয়েছে। গায়ের জোরে দু'বছরের কাজ দু'মাসে করতে চাইছে। সরকার যাতে কাজ করতে না পারে। বিজেপি তাতেও আমাদের সাথে তোমরা পারবে না। সব এজেন্সিকে কাজে লাগিয়েছো। চক্রান্তকারীরা দল। দু'চোখে দুর্যোধন আর দুঃশাসন। যারা গান্ধীজির নাম কেটে দেয় তারা দেশকে কতটা ভালোবাসে জানা আছে।"
বেলা ১২.১৬: মমতা বলেন, "কী চলছে আর কী করা উচিত সেটা জানতে হবে। নির্বাচনে ২ মাস আগে ডেলিবারেট অ্যাটেম্পট। মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে চায়। অটোক্রেসি চলছে। মতুয়া, তফসিলি, আদিবাসীদের ভোট থাকবে না। ৪৬ জন মারা গিয়েছেন। তার মধ্যে অর্ধেকের বেশি হিন্দু।"
বেলা ১২.১৫: সভামঞ্চে বক্তব্য রাখতে শুরু করলেন তৃণমূল নেত্রী।
বেলা ১২: নেতাজি ইন্ডোরের সভামঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
