সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোদি সরকারের সঙ্গে বাংলার সংঘাত কি আরও তীব্রতর? আগামী ২৭ মে রাজধানী দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এ খবর সামনে আসতেই জোরালো হয়েছে এই প্রশ্ন।
আগামী ২৭ মে দেশের একাধিক মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একযোগে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা ছিল মমতার। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই দিল্লি সফরের কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু এবার শোনা যাচ্ছে, এ মাসের শেষে নীতি আয়োগের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখোমুখি হবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, রবিবার সংসদের নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা রেক ও’ব্রায়েন (Derek O’brien) টুইট করে জানিয়ে দেন, রবিবারের অনুষ্ঠানে তাঁরা উপস্থিত থাকবেন না। এই ঘোষণার পরই মুখ্যমন্ত্রীর নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত আরও বাড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
[আরও পড়ুন: সাতসকালে কলকাতায় ভয়ংকর দুর্ঘটনা, ফুটপাতে উঠল বাস, আহত ৩ মেট্রো কর্মী]
বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান সংসদের নতুন ভবন উদ্বোধন। অথচ সেখানে ব্রাত্য সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদের অধিকারী রাষ্ট্রপতি। যিনি আবার সংসদের অভিভাবক বা সর্বময় কর্তাও। কেন রাষ্ট্রপতিকে বাদ দিয়ে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী? এই প্রশ্ন তুলেই বিজেপি সরকারকে বিঁধে অনুষ্ঠান বয়কটের পথে হেঁটেছে তৃণমূল। তবে শুধু এ রাজ্যের শাসক দলই নয়, কমপক্ষে ১৯টি বিরোধী দলেই জানিয়ে দিয়েছে, রবিবারের উদ্বোধনে তারা উপস্থিত থাকবে না। এই আবহেই নীতি আয়োগের বৈঠকেও যাচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, দিল্লি যাওয়ার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়েছিলেন মমতা। প্রশ্ন তুলেছিলেন, টাকা যদি অপব্যবহারই হয়, তাহলে এত উন্নয়ন হচ্ছে কী করে? তারও আগে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ওই বৈঠকে তাঁকে বিশেষ কিছু বলার সুযোগ দেওয়া হয় না।