স্টাফ রিপোর্টার: রাষ্ট্রসংঘের (UN) জলবায়ু পরিবর্তনের বিশ্বসম্মেলনে ভূয়সী প্রশংসিত হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ‘সবুজ-প্রীতি’। দেশের জাতীয় নেত্রী হয়েও পরিবেশ দিবসে সবুজায়ন নিয়ে তিনি জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে যেভাবে পথে নামেন তা বিভিন্ন দেশ ও মহানগরের প্রতিনিধিদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
আমফান পরবর্তী সময়ে ভয়ংকর ক্ষতিগ্রস্ত কলকাতা তথা দক্ষিণবঙ্গে দ্রুত বৃক্ষসৃজনের জন্য তাঁর উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছে মিশরের ‘শার্ম আল শেখ’ শহরে চলা জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের পরিবেশবিদরা। সম্মেলনে কলকাতা ও বাংলার তরফে প্রতিনিধিত্ব করছেন বিধায়ক তথা মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। উদ্বোধন করেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন।
[আরও পড়ুন: আর মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয় বিমানেও, করোনা সংক্রমণ তলানিতে নামতেই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের]
সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়ার পাশাপাশি লাতিন আমেরিকার দেশগুলিও। কলকাতার তরফে বক্তব্য রাখতে উঠে বাংলায় গত ১১ বছরে সবুজায়নের তথ্য তুলে ধরেন দেবাশিস। দূষণহীন দীপাবলি উপহার দিয়েছে কলকাতা জানিয়ে বলেন, ‘‘আমফান পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মাত্র এক বছরে শহরে প্রায় ১ লক্ষ ৭৫ হাজার গাছ বিলি হয়েছে। দূষণ রুখতে মার্চ ২০২৩ সালের মধে্য আরও ১ লক্ষ ২৫ হাজার গাছ বসবে কলকাতায়। বালিগঞ্জ ফঁাড়ি, যোধপুর পার্ক-সহ কলকাতার রাস্তার পাশে পরিবেশ বান্ধব ‘গ্রিন-ভার্জ’ বসেছে।’’
উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সাম্প্রতিক সময়ে বহুবারই ‘স্কচ’ সম্মান জিতেছে বাংলা। শিক্ষা, শিল্পের পাশাপাশি বন ও পরিবেশ সংক্রান্ত বিভাগে শীর্ষ স্থান পেয়েছে বাংলা। ২০২০ ও ২০২১ সালে কোভিড (COVID-19) মোকাবিলা এবং জনপরিষেবায় দুর্দান্ত কাজের সুবাদে বাংলার ঝুলিতে এসেছিল একাধিক ‘স্কচ’ অ্যাওয়ার্ড। সেবার দুই বিভাগে ‘স্কচ গোল্ডেন’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিল বাংলা। শুধু তাইই নয়, করোনা (Coronavirus) কালে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা (SBSTC)খুব ভাল কাজ করার স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার জিতে নিয়েছিল। এছাড়া যানজট নিয়ন্ত্রণেও প্রশংসনীয় কাজ করার নিদর্শন রেখেছে রাজ্য সরকারের পরিবহণ সংস্থা।