বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাঙালি হেনস্তা। প্রতিবাদে রাজপথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে 'সেনাপতি' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভরা বর্ষায় বৃষ্টি মাথায় কলেজ স্কোয়ার থেকে রাজপথে তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিল। শেষ ডোরিনা ক্রসিংয়ে। রাস্তার দুপাশে পাহারায় ১৫০০ পুলিশ কর্মী। পদযাত্রা শেষে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর। জানুন প্রতিমুহূর্তের তথ্য ।
দুপুর ৩.০৭: "সতর্ক বার্তা দিয়ে গেলাম। মারবও না কাটবও না। আপনার মতো ভাষাও বলব না। যদি না থামেন, আগামিদিনে আপনাদের থামাতে কী করতে হবে দেখে নেব", হুঁশিয়ারি মমতার। বললেন, "আক্রমণ করলে প্রত্যাঘাত হবেই, জবাব দেব।"
দুপুর ৩.০৬: দিন কয়েকপরই ২১ জুলাই। তা সত্ত্বেও কেন এদিন পথে? নিজেই কারণ জানালেন মমতা। বলেন, "মাঝে মাঝে জবাব দিতে হয়।"
দুপুর ৩.০১: "আমাদের পুরসভায় ৯০ শতাংশ কর্মী বিহারের। ওরা কাজ করতে সক্ষম, তাই করে। আমরা কি কাউকে বের করে দিয়েছি?", প্রশ্ন মমতার।
দুপুর ২.৫৭: বাংলার লোককে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখে, বাঙালি বিজেপিকেও ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেবে: মমতা।
দুপুর ২.৫২: কে শিঙাড়া খাবে, জিলিপি খাবে, পোহা খাবে, তাতে আপনাদের কী? আপনারা বলার কে? ওস্তাদ হয়ে গেছে সব! বড় নেতাদের থেকে তো ছোট নেতারা বেশি। মঞ্চ থেকে মমতা স্লোগান তুললেন, খেলা হবে।
দুপুর ২.৫১: "ভারত সরকার একটি নোটিফিকেশন দিয়েছে। সেটি আমরা চ্যালেঞ্জ করব। লুকিয়ে লুকিয়ে (নোটিফিকেশন) করে যেখানে বিজেপি আছে সেখানে পাঠিয়েছে। সেখানে পরিষ্কার বলা হয়েছে, যাকেই সন্দেহ হবে, বাংলায় কথা বলে, তাঁকে অ্যারেস্ট করবে, ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে দেবে। কেউ আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলেও।" ফুঁসে উঠে মমতা বললেন, "এটা তো ভয়ংকর। অবৈধভাবে আইন করছেন।"
দুপুর ২.৪৭: দিল্লিতে জল-বিদ্যুৎ কেটে দিয়েছেন। অন্ধকূপে রেখে দিয়েছেন। আমাদের এমপি-রা ধরনা দিয়েছেন। মহুয়া ছত্তিশগড়ে গিয়েছেন আটকে পড়া বাঙালিদের ছাড়াতে। বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
দুপুর ২.৪৫: "বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না", সাফ জানালেন মমতা।
দুপুর ২.৪০: মমতা বললেন, "কথায় আছে বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়... ওরা বলেছে বাংলায় কথা বললেই অ্যারেস্ট করুন। আমরা সব ভাষাকে সম্মান করি। যারা ভারতের নাগরিক তাঁদের সকলকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু বাঙালির অপমান মানব না। অত্যাচার সহ্য করা হবে না। জমিদারি নাকি? বাংলা বললেই বাংলাদেশি রোহিঙ্গা বলবেন? হেনস্তা করা হচ্ছে যাদের সকলের কাগজপত্র আছে। শুনে রাখুন, যারা এখান থেকে কাজ করতে বাইরে যায়, দক্ষতা আছে বলে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়। ওরা বাংলায় থাকলে অনেক ভালো থাকত। কিন্তু তাঁরা গিয়েছে, কোন অধিকারে তাঁদের উপর অত্যাচার করা হবে?"
দুপুর ২.৩৭: "বৃষ্টি মাথায় নিয়ে যারা ভিজেছেন সকলে বাড়ি গিয়ে গরমে জলে স্নান করবেন, বাড়ি গিয়ে ওষুধ খাবেন", ফের অভিভাবকের মতো পরামর্শ দিলেন মমতা।
দুপুর ২.৩৫: মঞ্চ থেকে ডিভিসিকে তোপ মমতার। বললেন, "প্রচন্ড বর্ষায় ভিজে এসেছেন, এটা প্রকৃতির দান। বহু মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত। তারপরও না জানিয়ে বারবার জল ছাড়ছে।"
দুপুর ২.২৫: ডোরিনা ক্রসিংয়ে পৌঁছল মিছিল। মঞ্চে উঠলেন মমতা।
দুপুর ২.১২: চার মিনিট পর ফের শুরু মিছিল। এসএন ব্যানার্জীর বদলে লেনিন সরণি ধরে এগোচ্ছে মিছিল।
দুপুর ২.০৮: বিপুল জনস্রোত। মাঝপথে মিছিলের রুট পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা। হিন্দ সিনেমার ক্রসিংয়ে দাঁড়িয়ে পড়লেন মমতা-অভিষেক। চলছে স্লোগানিং।
দুপুর ১.৪৮: শুরু মিছিল। বৃষ্টি মাথায় রাজপথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে রয়েছেন অভিষেকও।
দুপুর ১.৪৫: মিছিলের সাক্ষী হতে রাস্তার দু'পাশে জনজোয়ার।
দুপুর ১.৩০: কালীঘাট থেকে প্রতিবাদস্থলের উদ্দেশে রওনা হলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে মিছিল।
দুপুর ১.১৫: বাঙালিদের এভাবে হেনস্তার জবাব কেন্দ্রকে দিতেই হবে, ফুঁসে উঠলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
দুপুর ১.০৩: তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের গলায় ব্যানার। তাতে বিজেপিকে বিঁধে একাধিক প্রশ্ন।
বেলা ১২.৪০: কলেজ স্কোয়ারের মঞ্চে রয়েছেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি, রয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ।
বেলা ১২.৩০: বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালি হেনস্তা। প্রতিবাদে রাজপথে নামবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে হাঁটবেন 'সেনাপতি' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কলেজ স্কোয়ারে জমায়েত করেছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। রয়েছেন অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, ইন্দ্রনীল সেন, উদয়ন গুহ-সহ অন্যান্যরা।
