অর্ণব আইচ: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) কালীঘাটের বাড়িতে অনুপ্রবেশের ঘটনার তদন্তে গঠিত হল SIT। ডিসি ডিডি স্পেশ্যাল ও এসটিএফের নেতৃত্বে সিট তদন্ত করবে ঘটনার। নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে হাফিজুল মোল্লা কীভাবে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকল, উদ্দেশ্যই বা কী ছিল তার, তা খতিয়ে দেখবে স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হাফিজুল মোল্লা প্রবেশের ঘটনায় তৎপর প্রশাসন। মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বে নবান্নে ম্যারাথন বৈঠক হয়েছে। তখনই ইঙ্গিত মিলেছিল নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের বদল করা হবে। মঙ্গলবার সেই সিদ্ধান্ত মেনে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে বহাল ১৫ জনকেই বদলি করা হয়। তাঁদের মধ্যে একজন সার্জেন্ট, একজন ইনস্পেক্টর, দু’ জন কনস্টেবল। আর এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তায় নতুন করে ২০ জনকে বহাল করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: আচমকা কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের! তুঙ্গে BJP নেত্রীর দলবদলের জল্পনা]
এছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির প্রবেশপথের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হচ্ছে। পুলিশ কুকুরের নজরদারি বাড়ানো হবে। দু’টি ওয়াচ টাওয়ার নতুন করে বসানো হবে। একটি আলিপুর জেল এবং অন্যটি বলরাম ঘাটের দিকে। টালি নালার দিকের অরক্ষিত দিকে ১৪ ফুট উঁচু অ্যালমিনিয়ামের পাঁচিল দেওয়া হবে। নবান্ন এবং মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি, দুটি ক্ষেত্রেই সিসিটিভির সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। এখন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির চারিদিকে ১০০ ফুট ব্যাসার্ধ জুড়ে নজরদারি চলে। এবার থেকে নজরদারি এলাকা দ্বিগুণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার গভীর রাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) কালীঘাটের (Kalighat) বাড়িতে নিরাপত্তারক্ষীদের অজান্তে প্রবেশ করে হাফিজুল মোল্লা নামে ওই যুবক। রবিবার সকালে তাকে একটি গাড়ির পিছনে বসে থাকতে দেখা যায়। এরপরই সতর্ক হয়ে পুলিশ তাকে আটক করে। দুপুর সোয়া দু’টোয় রাজ্যের ডিরেক্টরেট অফ সিকিউরিটির এক ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিকের করা অভিযোগের ভিত্তিতে হাফিজুল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৫৮ ধারায় কাউকে আঘাত বা হামলার উদ্দেশ্য নিয়ে কোনও বাড়িতে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগে তাকে পাকড়াও করে কালীঘাট থানার পুলিশ। অভিযুক্তর কাছ থেকে একটি লোহার রড উদ্ধার হয়। আপাতত ১১ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে অভিযুক্ত।