shono
Advertisement

Breaking News

ECO Park

পার্ক স্ট্রিট যেন কুম্ভমেলা! চিড়িয়াখানা, ইকো পার্ক নাকি সায়েন্স সিটি? পঁচিশের ভিড়ে এগিয়ে কে?

শহরের প্রতিটি ক্যাফে, রেস্তরাঁয় ছিল ঠাসাঠাসি ভিড়।
Published By: Sayani SenPosted: 09:02 AM Dec 26, 2025Updated: 09:02 AM Dec 26, 2025

স্টাফ রিপোর্টার: যিনি ছিলেন অষ্টমীর সন্ধ্যায় চেতলা অগ্রণীতে। বড়দিনে তিনিই পার্ক স্ট্রিটের মায়াবী আলো গায়ে মেখে অ্যালেন পার্কে। উদযাপন যেখানে মুখ্য, তাকে ঠেকায় কার সাধ্যি। যিশু পুজোয় গিজগিজে ঠাসাঠাসি ভিড়ে পাশাপাশি হাঁটল ক্রিস্টোফার জার্বার, উৎপল দে, আবু ওবায়েদ। ধর্ম যাঁর যাঁর, উৎসব সবার। সেই প্রবচন ঘুরল পায়ে পায়ে। রাসেল স্ট্রিট, চৌরঙ্গি, কিড স্ট্রিট হয়ে জনসমুদ্র চষে ফেলল কলকাতার সাহেবপাড়া। তুলল সেলফি। কামড় বসাল রিচ ফ্রুট কেকে। মাথায় প্লাস্টিকের বলগা হরিণের সিং লাগিয়ে তরুণীদের চিল চিৎকার, "লেটস' পার্টি।"

Advertisement

সেই পার্টির সংজ্ঞা বদলাল ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে সঙ্গে। সকালের দিকে বিনোদন পার্ক, চিড়িয়াখানায় ছিল দমবন্ধ ভিড়। আলিপুর চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর, বড়দিনে ৪৪ হাজারেরও বেশি মানুষের পা পড়েছিল চিড়িয়াঘরে। ইকো পার্ক চিড়িয়াখানায় দর্শক হয়েছিল পাঁচ হাজার ছুঁইছুঁই। ভারতীয় জাদুঘরেও ছিল ঠাসা ভিড়। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, সায়েন্স সিটিতে পরিবার নিয়ে জমজমাট পিকনিক হয়েছে সারা দুপুর। ভিক্টোরিয়ায় ৩৪,১৫১ জন, ইকো পার্কে ৫০,৭০০ জন এদিন পা রেখেছেন। শহরের প্রতিটি নৈশ ক্লাবে আবার প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার হাতছানি। জেনারেশন জেডের জটলা সেখানেই। চাকরিসূত্রে বিদেশে থাকেন। এমন অনেকেই বছরের এই সময়টায় ফিরে আসেন বাড়িতে। তায় আবার মরশুমের শীতলতম দিন। এমন মাহেন্দ্রক্ষণে ঘরে ছিলও না বাঙালি। টিনএজাররা বেরিয়ে পড়েছিল সকাল সকাল। ময়দান থেকে পার্ক স্ট্রিট। শহরের প্রতিটি ক্যাফে, রেস্তরাঁয় ছিল ঠাসাঠাসি ভিড়।

সাহেবি ফেস্টিভ্যালে 'ইংলিশ ব্রেকফাস্ট' মাস্ট। মঞ্জিরাকে নিয়ে অমিত লাইন দিয়েছিল পার্ক স্ট্রিটের শতাব্দীপ্রাচীন রেস্তরাঁ ফ্লুরিজে। সকাল দশটায় বড়দিনে ভিন্টেজ রেস্তরাঁর বাইরে জনসমুদ্র বলে দিচ্ছিল, ঘরে অলস বসে থাকতে রাজি নয় কেউই। যাঁরা পার্ক স্ট্রিটের অ্যান্টিক রেস্তরাঁয় জায়গা পাননি, তারা নিজের পাড়ার ক্যাফেতেই সেরেছেন সসেজ, বেকন, গ্রিলড টম্যাটো দিয়ে সাহেবি প্রাতঃরাশ। যাত্রীরা যাতে পার্ক স্ট্রিট এবং ময়দান স্টেশনে নেমে একটা নির্দিষ্ট দিক দিয়ে বেরতে পারেন তার জন্য প্রবেশ এবং প্রস্থান পথ আগেই আলাদা করে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। আর তা করেই বড়দিনে সাহেবপাড়ার বিপুল চাপ সামাল দিল মেট্রো। বড়দিনের কারণে প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত বাস চলেছে। তবে সুযোগ বুঝে এদিনও মানুষের পকেট কেটেছে ট্যাক্সি এবং অ্যাপ ক্যাব। হলুদ ট্যাক্সিতে ছিল মাত্রাছাড়া ভাড়া। ফলে বাড়ি ফিরতে ভুগতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • পার্ক স্ট্রিট যেন কুম্ভমেলা!
  • চিড়িয়াখানা, ইকো পার্ক নাকি সায়েন্স সিটিতে থিকথিকে ভিড়।
  • সবচেয়ে বেশি ভিড় জমেছে ইকো পার্কে।
Advertisement