shono
Advertisement
Tangra Case

'মরার অভিনয় করেছি', কেন ঘুমের ওষুধ মেশানো পায়েসে কিছু হল না? অভিশপ্ত দিনের ব্যাখ্যা ট্যাংরার নাবালকের

বৃহস্পতিবার রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের দুই সদস্য কথা বলেন ওই নাবালকের সঙ্গে।
Published By: Tiyasha SarkarPosted: 02:48 PM Feb 27, 2025Updated: 02:49 PM Feb 27, 2025

অর্ণব আইচ: অভিশপ্ত দিনে ঠিক কী ঘটেছিল ট্যাংরার দে বাড়িতে? তা নিয়ে এখনও সন্দিহান পুলিশ। এরই মাঝে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের দুই সদস্যের কাছে ঘটনার বিবরণ দিল দে বাড়ির নাবালক পুত্র। জানাল কেন, ঘুমের ওষুধ মেশানো পায়ের খাওয়ার পরও কিছু হয়নি তার। এদিকে শিশু সুরক্ষা কমিশন চাইছে হোমে না পাঠিয়ে নাবালককে কোনও আত্মীয়র কাছে রাখতে। তা নিয়ে এখনও জারি টানাপোড়েন।

Advertisement

বিষয়টা ঠিক কী? কী জানাচ্ছে ওই নাবালক? মঙ্গলবার রাজ্য শিশু কমিশনের দুই সদস্যের কাছে সে জানায়, ঘটনার দু'দিন আগেই এই সংক্রান্ত আলোচনা করছিল তাঁর বাবা প্রসূন ও কাকা প্রণয়। বাবা বলেছিল, "এবার পাওনাদাররা ধাওয়া করবে। মৃত্যু ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।" ওই আলোচনার সময় নাকি ঘরে চলে গিয়েছিল নাবালক। কিন্তু তড়িঘড়ি তাকে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপরই বাবা ও কাকা মিলে আত্মহত্যার ছক কষে। পরিকল্পনামাফিক পরিবারের সকলেই ওষুধ মেশানো পায়েস খায়। জিম করায় ওই পায়েস খেয়ে কিছুই হয়নি ওই নাবালকের। কিন্তু সে জানত বাড়িতে ভয়ংকর কিছু একটা ঘটে গিয়েছে। তাই ঘুম ভাঙলেও দীর্ঘক্ষণ নাকি মরার অভিনয় করে সে। সেই সময় মৃত্যু নিশ্চিত করতে কাকা প্রসূন ওই নাবালকের মুখে বালিশ চেপে ধরে। যোগা করায় বেশ কিছুক্ষণ শ্বাস আটকে রাখে সে। এরপর নাকি প্রসূন ও প্রণয় আত্মহত্যা করতে ছাদে চলে যান।

নাবালক জানায়, বাবা ও কাকা ঘর থেকে বেরতেই সে দোতলায় যায়। দেখে মা, কাকিমা এবং বোনের মৃত্যু হয়েছে। নাবালকের আক্ষেপ, বড়রা তাঁকে কিছু সরাসরি কিছু জানায়নি। সবটা জানতে পারলে হয়তো সেও উপার্জনের কোনও রাস্তা দেখাতে পারত। এদিকে শিশু সুরক্ষা কমিশন নাবালককে হোমে পাঠাতে চাইছে না। তাঁরা কোনও আত্মীয়ের কাছেই নাবালককে রাখতে চায়। সেক্ষেত্রে কমিশনের পছন্দ প্রসূনের শ্বশুর-শাশুড়ি। আজ, বৃহস্পতিবারই দম্পতির সঙ্গে কমিশন কথা বলবে বলে খবর। তবে যদি তারাও নিতে রাজি না হয় সেক্ষেত্রে বাইরের একটি পরিবার পাওয়া গিয়েছে, যারা ওই নাবালকের ভরণ পোষণে রাজি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • অভিশপ্ত দিনে ঠিক কী ঘটেছিল ট্যাংরার দে বাড়িতে? তা নিয়ে এখনও সন্দিহান পুলিশ।
  • এরই মাঝে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের দুই সদস্যের কাছে ঘটনার বিবরণ দিল দে বাড়ির নাবালক পুত্র। জানাল কেন, ঘুমের ওষুধ মেশানো পায়ের খাওয়ার পরও কিছু হয়নি তার।
  • এদিকে শিশু সুরক্ষা কমিশন চাইছে হোমে না পাঠিয়ে নাবালককে কোনও আত্মীয়র কাছে রাখতে। তা নিয়ে এখনও জারি টানাপোড়েন।
Advertisement