রমেন দাস: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীমৃত্যুর (JU Student Death) ঘটনায় আরও গাঢ় হচ্ছে রহস্য! দাবি, মূল অভিযুক্ত অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ভাষাতত্ত্ব বিভাগের ছাত্র অসহযোগিতা করছেন তদন্তে! বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী তদন্ত কমিটি অর্থাৎ আইসিসি ওই ছাত্রকে উপস্থিত হতে বললেও তিনি এখনও হাজির হননি বলেই সূত্রের খবর। এমনকী, ঘনিষ্ঠ মহলে ওই ছাত্র জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। শুধু তাই-ই নয়, অভিযুক্ত ছাত্র আইনি পরামর্শ নিতে শুরু করেছেন বলেও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর। দাবি, ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগের পর, তিনি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত রয়েছেন, একথাও জানিয়েছেন তাঁর বন্ধুদের।
এদিকে মালবাজারের (Mal Bazar) ওই ছাত্রীর মায়ের তরফে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ করা হয়েছে মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মৃত ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, “ওই ছেলেটি নাটক করছে। মিথ্যা কথা বলছে অভিযুক্ত। আমাদের কাছে সমস্ত প্রমাণ রয়েছে বলেই ওর নামে অভিযোগ করেছি।” কী অভিযোগ করেছেন? ছাত্রীর মায়ের আরও দাবি, “আমার মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের পর সেটার সুযোগ নিয়েছে ও (অভিযুক্ত যুবক)। আমার দৃষ্টিহীন মেয়ের কাছ থেকে টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছে বারবার।” মৃত ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, “আমার মেয়েটা ওর জন্য মরতে বাধ্য হয়েছে! শুধু শারীরিক নির্যাতন নয়, ক্রমশ মানসিক নির্যাতন চালাত ওই ছেলেটি। ওর কথার মায়ায় ফাঁসানোর ক্ষমতা রয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ‘আমাকে বিক্রি করে দাও’, মৃত্যুর আগে বিস্ফোরক ছাত্রী! তদন্তে কমিটি গঠনের পথে যাদবপুর]
মেয়ের মৃত্যুতে র্যাগিং (Ragging) -সহ একাধিক অভিযোগ এনেছেন ছাত্রীর মা। তিনি বলেন, “আমার মেয়ের সম্মানের কথা ভেবে কিছু বলিনি। ওই ছেলেটি বারবার এমন অত্যাচার করেছে, আমার মেয়েটা অকালে শেষ হয়েছে সেই কারণেই। এটাও তো খুন! ও যে পরোক্ষভাবে আমার মেয়েকে খুন করেনি, অর্থাৎ মরতে বাধ্য করেনি, এটাও বলব কী করে?”
ছাত্রীর মৃত্যুর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী তাহলে কে? ছাত্রীর মায়ের জবাব, “ওই ছেলেটি (অভিযুক্ত যুবক)। সঙ্গে আর যার নাম রয়েছে, সে সব জেনেও কিছু করেনি। এই অত্যাচারের মাত্রায় ইন্ধন দিয়েছে। সেই কারণেই আমরা ওর বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছি। পুলিশ তদন্ত করছে, ওই ছেলেটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করুক। আমরা ওর শাস্তি চাইছি। ওর জন্য আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।” যদিও ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’-এর তরফে অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি। তিনি জানান, ”আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। এখনই কিছু বলব না।”