কৃষ্ণকুমার দাস: চরিত্র বদল করে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করল ডেঙ্গু (Dengue)। উপসর্গহীন ডেঙ্গুর থাবায় ত্রস্ত কলকাতা। নাইসেডের রিপোর্ট উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পুজোর মুখে তাই বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
ঘরে ঘরে জ্বর লেগেই রয়েছে। চিকিৎসকদের কাছে গেলেই ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া পরীক্ষা করাতে হচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। তবে প্রথম দফায় তা ধরা পড়লে ওষুধপত্রের মাধ্যমে সামাল দেওয়া সম্ভব। কিন্তু চিকিৎসকদের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গুর নতুন জীবাণু। চিকিৎসার পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে ‘ডেন থ্রি’ (Den3)। ডেঙ্গুর চরিত্রের পাশাপাশি বদলেছে উপসর্গও। ‘ডেন থ্রি’তে আক্রান্তরা প্রায় উপসর্গহীন। জ্বর থাকছে না। কমছে না প্লেটলেটও। তবে আচমকাই এই ধরনের ডেঙ্গু আক্রান্তের রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছে। যার ফলে নিমেষেই রোগীর অবস্থার অবনতি হচ্ছে। রোগীকে ভর্তি করা হচ্ছে হাসপাতালে।
[আরও পড়ুন: ফের অনুব্রত মণ্ডলের বোলপুরের বাড়িতে সিবিআই হানা, আজই কেষ্টকন্যাকে জেরার সম্ভাবনা]
উপসর্গহীন ‘ডেন থ্রি’র বাড়বাড়ন্ত নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগে সাধারণ মানুষ। চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) কপালেও। শুক্রবার মেয়র জানান, সম্প্রতি নাইসেডে মোট ৫০ টি নমুনা পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে ৩৫টি ‘ডেন থ্রি’, যা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। মেয়র আরও জানান, ডেঙ্গু উপসর্গহীন হওয়ায় ছড়াচ্ছেও বেশি। কারণ, সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে সাধারণত ডেঙ্গু আক্রান্তকে মশারির ভিতর ঢুকিয়ে রাখা হয়। তাতে আক্রান্তকে আর নতুন করে মশা কামড়াতে পারে না। কারণ, আক্রান্তকে কামড়ানো মশা অন্য কাউকে কামড়ালে সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তবে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্তরা উপসর্গহীন হওয়ায় তাঁদের কামড়ানো মশা অন্য কাউকে কামড়াচ্ছে। ফলে বাড়ছে সংক্রমণ।
তবে ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত সামাল দিতে প্রস্তুত পুরসভা। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিক ও কর্মীদের পুজোর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পুজোর সময়ও খোলা থাকবে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য আধিকারিক ও কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আপৎকালীন বিভাগ যেমন নিকাশি, কঠিন ও বর্জ্য, এইসব দপ্তরও খোলা থাকছে।