গোবিন্দ রায়: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) মনোনয়নের শেষ দিনও জেলায় জেলায় অশান্তি অব্যাহত। এদিনও উত্তপ্ত ভাঙড়, ক্যানিং। সেখানে বিরোধী প্রার্থীরা প্রথম দিন থেকেই মনোনয়ন জমা দিতে পারছে না বলে অভিযোগ। শেষ দিনে যাতে তা দিতে পারেন, সেই জন্য কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। আর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা পুলিশকে বিশেষ নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। বলা হয়েছে, কলকাতা পুলিশ বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে হাই কোর্টে হাজির থাকা বিরোধী প্রার্থীদের এখনই মনোনয়ন জমার জন্য গন্তব্যে পাঠাতে হবে।
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বিভিন্ন এলাকার বিরোধী প্রার্থীরা। বসিরহাট, ক্যানিং, ভাঙড় (Bhangar), কাশীপুরে মনোনয়ন ঘিরে তুমুল উত্তেজনা, মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। এসব শুনে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানান, প্রত্যেক প্রার্থীকে কলকাতা পুলিশকে ‘এসকর্ট’ দিয়ে পৌঁছে দিতে হবে মনোনয়ন কেন্দ্র। তাঁরা যাতে সময়ের মধ্যে পৌঁছতে পারেন মনোনয়ন স্থলে, তাই এই ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্যকে। সেই হাই কোর্টে উপস্থিত সব প্রার্থীকে হেয়ার স্ট্রিট থানায় পৌঁছতে হবে। বাকি প্রার্থীরা এলাকার থানা ও এসপি অফিসে হাজির হলে তাঁদের পুলিশি নিরাপত্তায় মনোনয়ন জমা দিতে নিয়ে যেতে হবে।
[আরও পড়ুন: নিরাপত্তা বলয় ভেঙে তেড়ে এল বাইক, বড়সড় বিপদ থেকে রক্ষা নীতীশ কুমারের]
হাই কোর্টের এই নির্দেশের পরই এদিন পুলিশি নিরাপত্তায় ভাঙড়ের তিন আইএসএফ প্রার্থী (ISF) মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিডিও অফিসে। নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য করিমুল্লা মোল্লা, আনসেরা বিবি ও কায়েম আলি মোল্লাকে বাড়ি থেকে গোটা রাস্তা পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যায় মনোনয়ন কেন্দ্র পর্যন্ত। নির্বিঘ্নে মনোনয়ন (Nomination) পেশ করার পর তাঁরা সকলেই জানান, আর ভয় নেই। তবে অভিযোগও করেন, তৃণমূল বারবার মনোনয়ন না দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিল। যদিও পুলিশি নিরাপত্তা পেয়ে আর তাঁরা হুমকিতে ভয় পাচ্ছেন না।