সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইডি, সিবিআই, বিভিন্ন স্বশাসিত সংস্থা, কেন্দ্রীয় এজেন্সির পর এবার সরাসরি বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি দাবি করলেন, বিচারব্যবস্থার একটা অংশের প্রছন্ন মদত রয়েছে বিজেপির উপর। সেই মদতের জোরেই বিজেপি নেতারা মনে করছেন, আমরা যা খুশি করতে পারি।
বিজেপির নবান্ন অভিযানে আহত হওয়া কলকাতা পুলিশের (Calcutta Police) আধিকারিককে দেখতে গিয়ে রাজ্য বিচারব্যবস্থার ভূমিকা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগগুলি করেন অভিষেক। তিনি বলেন, “আমি কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, বিচারব্যবস্থা থাকতে এভাবে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হচ্ছে কী করে? যাদের মদতে এই ঘটনা ঘটেছে, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে হাই কোর্ট? অনেকে ভাবছে আমরা বিজেপি করি মানে যা খুশি করতে পারি, কারণ বিচারব্যবস্থার একাংশের হাত আমাদের মাথায় আছে। তারা বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছে। আমি সত্যিটা বলতে বাধ্য হচ্ছি। হয়তো এখনও অনেকে বিচারব্যবস্থায় আছেন, যারা মেরুদণ্ড সোজা রেখে কাজ করে চলেছেন। কিন্তু এখন আর বিচারব্যবস্থার উপর মানুষের আস্থা নেই। সেটা থাকলে কেউ এভাবে আইন হাতে তুলে নিতে পারত না।”
[আরও পড়ুন: ‘যত মারবেন তত বাড়ব’, তৃণমূলকে নিশানা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের, পালটা দিলেন কুণাল]
আসলে গতকাল বিজেপির নবান্ন (Nabanna) অভিযানে যে অশান্তি হয়েছে, তাতে আদালতের ভূমিকা নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এদিন অভিষেকের কথাতেই তাঁর প্রমাণ মিলেছে। মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা যেমন বেআইনি ও অসংবিধানিক এবং সেই সম্পত্তি নষ্ট করা যাবে না, ঠিক তেমনি অকারণে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায় না। এই ঘটনা নিয়ে সোমবারের মধ্যে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবের রিপোর্টও তলব করেছে হাই কোর্ট।
[আরও পড়ুন: বিজেপির নবান্ন অভিযানে হিংসার নেপথ্যে সিপিএম! ‘ওরা শুধু জার্সি বদলেছে’, দাবি অভিষেকের]
তবে শুধু এই ঘটনা নয়, বিচারপতি রাজশেখর মান্থা কীভাবে শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষীর হত্যা তদন্তে স্থগিতাদেশ দিলেন, সেটা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, আদালত চাইলে কাউকে রক্ষাকবচ দিতে পারে। কারও বিরুদ্ধে কোনওরকম কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না, সেটা বলে দিতে পারে। কিন্তু এভাবে গোটা তদন্তে স্থগিতাদেশ দেওয়াটা ভারতের ইতিহাসে নজিরবিহীন। বিশেষ করে এমন একটা ঘটনায় যেখানে মৃতের স্ত্রী নিজে মামলা দায়ের করেছেন।