সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুড়মিদের (Kurmi)সমস্যা নিয়ে এবার মুখ খুললেন জেলবন্দি তৃণমূল বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। মঙ্গলবার আলিপুর আদালত থেকে বেরনোর সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর পরামর্শ, দমন-পীড়ন নয়, আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা মেটানো যেতে পারে। তিনি অনেক আগে থেকেই এ বিষয়ে আলোচনার উপর জোর দিয়েছিলেন। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে বিষয়টি দেখছেন, তা ভরসাযোগ্য বলেই মন্তব্য করলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। পাশাপাশি সরকারের উপর আস্থার কথাও শোনালেন তিনি।
গত শুক্রবার জঙ্গলমহলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি চলাকালীন তাঁর কনভয়ে হামলার চেষ্টা হয়।তিনি নিরাপদে চলে যাওয়ার পর মন্ত্রী তথা ঝাড়গ্রামের বিধায়ক বীরবাহা হাঁসদার গাড়িতে হামলা (Attack) চলে। তাঁর গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। আহত হন তাঁর চালক। রীতিমতো অশান্তি বাঁধে গড় শালবনি এলাকায়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার মধ্যে রয়েছেন কুড়মি সংগঠনের শিক্ষক নেতা রাজেশ মাহাতো। তিনি আপাতত পুলিশ হেফাজতে। পাশাপাশি খড়গপুরের স্কুল থেকে তাঁকে সুদূর কোচবিহারে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। তবে এনিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, কুড়মিদের নাম নিয়ে এই লজ্জাজনক কাজ আসলে বিজেপির। কুড়মিরা কখনও এই হামলা চালাতে পারে না বলেই বিশ্বাস তাঁদের।
[আরও পড়ুন: বিজেপির বৈঠকে অশান্তি-হাতাহাতি, প্রশাসনের কাছে নালিশ ঠুকবেন বিরক্ত বাসিন্দারা]
এবার এসব ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার আলিপুর আদালত থেকে বেরনোর সময় তিনি বলেন, ”কুড়মিদের সঙ্গে জঙ্গলমহলে সকলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করুক, দমন পীড়ন নীতি অবলম্বন করা হয়তো ঠিক হবে না। আমি তার প্রতি আস্থাশীল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আমি আস্থাশীল।দমনপীড়ন নীতির বদলে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হোক।”
[আরও পড়ুন: এবার DA আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে খোদ মুখ্যমন্ত্রী, মিলবে রফাসূত্র?]
পাশাপাশি তিনি এদিন কারারক্ষীদের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অন্তর্গত করার বিষয়টি নিয়েও ফের মন্তব্য করেন। বলেন, ”মাননীয় কারা মন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো, তিনি অত্যন্ত কারারক্ষীদের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে অন্তর্গত করার দাবি, আমি বিধানসভায় তুলে ছিলাম। বিরোধী দলনেতা হিসেবে তুলেছিলাম। আমি চাই আমার প্রিয় নেত্রী ইনি কারারক্ষীদের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অন্তর্ভুক্ত করুন।”