shono
Advertisement
Patna Hospital Shooting

৬ মাস সাপুরজির অভিজাত আবাসনে বাস! পুরুলিয়ায় জেলবন্দি শেরুর সুপারিতে পাটনার হাসপাতালে শুটআউট?

স্বাভাবিকভাবে ওই আবাসনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
Published By: Sayani SenPosted: 04:27 PM Jul 19, 2025Updated: 04:33 PM Jul 19, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাটনার হাসপাতালের আইসিইউতে ঢুকে গুলি কাণ্ডে বাংলা যোগ? পুরুলিয়ার জেলবন্দি শেরুর সুপারিতে চন্দন মিশ্রকে খুন? নিউটাউনের সুখবৃষ্টি আবাসন থেকে পাঁচজনকে ধরপাকড়ের পর থেকে এমনই একাধিক প্রশ্নের ভিড়। এই প্রসঙ্গে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, "আমাদের তথ্য পাই। সেই অনুযায়ী বিহার এসটিএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বাংলা ও বিহার এসটিএফের সফল যৌথ অভিযানে তাদের পাকড়াও করা হয়।"

Advertisement

বিহার এসটিএফ সূত্রে খবর, কুখ্যাত দুষ্কৃতী চন্দন এবং শেরু একসময় একসঙ্গে জেলে ছিল। সেই সময় তাদের দু'জনের বিবাদের সূত্রপাত। সে আক্রোশে সম্ভবত শেরুই তার 'চরম শত্রু' চন্দনকে খুন করায়। শেরু বর্তমানে পুরুলিয়ায় জেলবন্দি। তদন্তকারীদের দাবি, জেলে বসেই হয়তো শেরু শুটআউটের পরিকল্পনা করে। তবে কীভাবে ওই দুষ্কৃতীদের সঙ্গে জেলবন্দি শেরু যোগাযোগ করল, কে যোগাযোগ স্থাপন করল, সেইসব মিসিং লিংকের খোঁজে বিহার এসটিএফ শেরুকে জেরা করছে।

গত ১৭ জুলাই হাসপাতালে ঢুকে গুলি চালায় পাঁচজন। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ। সেই দলে একেবারে প্রথমে ছিল শার্প শুটার তৌসিফ রাজা ওরফে বাদশা। আরও চারজন ছিল দলে। পুলিশ তৌসিফকে পাকড়াও করে আগেই। মোবাইল টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরে বাকিদের খোঁজে নিউটাউনে সাপুরজির সুখবৃষ্টি আবাসনে হানা দেয় বিহার এসটিএফ। প্রথমে এম ৭০ ব্লকের তিনতলায় ২জন ছিল। তাদের প্রথমে পাকড়াও করে বিহার এসটিএফ। তাদের জেরা করে আরও ২ জনের খোঁজ পাওয়া যায়। এরপর এম ৭৩ ব্লকের পাঁচতলায় হানা দেন আধিকারিকরা। সেখান থেকে আরও ৩ জনকে আটক করেন তদন্তকারীরা। বাংলা থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৫ জনকে পাকড়াও করে বিহার এসটিএফ। সূত্রের খবর, অভিষেক ও সেতু রাজ নামে দুই দুষ্কৃতী কমপক্ষে ছ'মাস আগে সুখবৃষ্টি আবাসন ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে। প্রথমদিকে একটি গাড়িও ছিল তাদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, বর্তমানে বাসন্তী হাইওয়ের কোনও এক আবাসনে ওই গাড়িটি থাকতে পারে। পুলিশ নিউটাউন, ভাঙড় এলাকার একাধিক থানা এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।

এর আগে ২০২১ সালের ৯ জুন, এই সুখবৃষ্টি আবাসনে চলে গুলির লড়াই। বেঙ্গল এসটিএফের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় পাঞ্জাবের দুই গ্যাংস্টার জয়পাল সিং ভুল্লার ও জশপ্রীত সিং ওরফে জাস্সির। সেই ঘটনায় গ্যাংস্টারদের গুলিতে আহত হন এসটিএফের ওসি (এক্সপ্লোসিভ) কার্তিক ঘোষ। তার ঠিক বছর চারেক পর আবারও দুষ্কৃতীদের গা ঢাকার ঘটনায় ফের শিরোনামে অভিজাত আবাসন। একের পর এক ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে আবাসনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ৬ মাস সাপুরজির অভিজাত আবাসনে বাস! পুরুলিয়ায় জেলবন্দি শেরুর সুপারিতে পাটনার হাসপাতালে শুটআউট?
  • কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, "বাংলা ও বিহার এসটিএফের সফল যৌথ অভিযানে তাদের পাকড়াও করা হয়।"
  • স্বাভাবিকভাবে ওই আবাসনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
Advertisement