রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: তিনি খাদ্যরসিক কিন্তু খাওয়ার পরিমাণ খুবই অল্প। ঘনিষ্ঠ বৃত্তের লোকজন ছাড়া অন্য কারও পক্ষে তা জানা তো দূর অস্ত, আন্দাজ করাও কঠিন। তিনি যথেষ্ট ‘ফিটনেস ফ্রিক’। আর সেই কারণেই নির্দিষ্ট ডায়েটে বন্দি রাখেন নিজেকে। ক্যালোরিযুক্ত খাবার খান মেপে। রাজ্য প্রশাসনের প্রধান, হাজারো কাজ সামলাতে হয়। তাই শারীরিকভাবে সুস্থ রাখার দিকে তাঁর নজর বরাবরের। ট্রেডমিলে দৌড়নো থেকে নিয়মিত হাঁটা, সংযমী জীবনযাপনই তাঁর সুস্থতার মূল মন্ত্র। কিন্তু এবার নিজেই পছন্দের খাবারের আবদার করলেন। সোমবার গুরু নানকের জন্মদিন (Guru Nanak Jayanti) উপলক্ষে শহিদ মিনারে শিখ সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) আবদার করলেন, ‘আমার ঘরে হালুয়া পাঠাবেন।’ এতেই স্পষ্ট তাঁর হালুয়া-প্রেম।
এর আগে ছট পুজোয় (Chhath Puja) মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গাতীরের একাধিক ঘাটে গিয়ে পুজো দিয়েছেন। সেখানে তাঁর মুখে ঠেকুয়ার প্রতি আকর্ষণের কথা শোনা গিয়েছিল। বলেছিলেন, ”ঠেকুয়া খেতে আমি খুব ভালবাসি, কিন্তু বেশি খাই না। মোটা হয়ে যাব এই ভেবে।” ঠিক উলটো কথাই বললেন সোমবার। হালুয়া চেয়ে নিলেন। বললেন, ”আপনারা ভাল করে গুরু পরব করবেন। আর আমার ঘরে হালুয়া পাঠাবেন।”
[আরও পড়ুন: পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে দার্জিলিংয়ে আসছে সার্বিয়ান বাঘ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামলেই আগমন!]
সোমবার গুরু নানকের জন্মদিন উপলক্ষে শহিদ মিনারে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কলকাতার শিখ সম্প্রদায়। প্রসঙ্গত, এই চত্বরে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য চলছিল ধরনা। এদিন সকালে কলকাতা পুলিশের তরফে অনুরোধ করে একদিনের জন্য ওই জায়গা খালি করে দেওয়া হয়। বিকেলে সেখানে অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজোর উপাচার নিয়ে যান। তারপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ”আমাদের সঙ্গে আপনাদের সারা বছর যোগাযোগ আছে। আপনাদের সবাইকে অসংখ্য শুভেচ্ছা। সবাই ভাল থাকুন। আমি সবাইকে অভিনন্দন জানাব।” ইতিহাসের উল্লেখ করে বলেন, ”পাঞ্জাব ও বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস এক। আন্দামানে গিয়ে দেখুন। সেখানে সেলুলার জেল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জনগনমণ লিখেছিলেন পাঞ্জাবকে শুরুতে রেখে। পাঞ্জাবের মানুষ দেশকে রক্ষা করে। সীমান্তে তাঁরা অনেকেই আছেন। এঁরা দেশের জন্য কাজ করেন। বোলে সো নিহাল…আমি এখানে এসে খুব খুশি। আপনারা আমাকে ভালোবাসেন৷”
[আরও পড়ুন: ‘বিয়েতে খরচ নয়, সঞ্চয় করুন সন্তানের জন্য’, গুজরাটে গণবিবাহের অনুষ্ঠানে বার্তা মোদির]
এরপর গুরুনানক ভবনের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ”আপনারা এর কথা আমায় বলেছেন। ওটা ৬ কোটির প্রপার্টি। আমাদের সেটা একেবারে করা সম্ভব নয়। আপনারা আমাকে আর একবার আবেদন জানান। আমি এক টাকায় দিয়ে দেব। সামাজিক কাজের জন্য আমরা দিতে পারব। আমরা হিডকো বোর্ড হয়ে ক্যাবিনেটে পাশ করিয়ে তা করে দেব৷”