গৌতম ব্রহ্ম: বছরশেষে ফের মুখোমুখি হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ‘ন্যাশনাল গঙ্গা কাউন্সিল’ বা জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠকে কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকে আমন্ত্রিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী সেই বৈঠকে যোগ দেবেন বলে বুধবার জানিয়ে দিয়েছেন। সম্প্রতি একাধিকবার বৈঠক হয়েছে মোদি-মমতার। বছর শেষে ফের তাঁদের বৈঠক করাটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর ‘ন্যাশনাল গঙ্গা কাউন্সিল’ (National Ganges Council) বা জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠকে কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদি (Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় গঙ্গা পরিষদের সভাপতি। দিনভর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। জাতীয় গঙ্গা পরিষদের সদস্য এরাজ্যও। সদস্য হিসাবেই প্রধানমন্ত্রীর সেই বৈঠকে আমন্ত্রণ পেয়েছেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ফোন করে ওই বৈঠকে যোগ দিতে বলেছেন।
[আরও পড়ুন: ‘করোনা বিদায় নেয়নি, বিধি মানুন’, উৎসবের আগে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ কেন্দ্রের]
গঙ্গা পরিষদে সদস্য কেন্দ্রের প্রায় ১০টি মন্ত্রক। রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আছে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, বিহার, ঝাড়খণ্ড। গতবার এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। সেবার বাংলা এবং ঝাড়খণ্ড এই বৈঠকে যোগ দেয়নি। এবার বৈঠক বাংলায়। উচ্চ পর্যায়ের ওই বৈঠকের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নবান্ন। এখনও পর্যন্ত যা ঠিক আছে, তাতে কয়েকটি ভাগে ৩০ তারিখে প্রায় গোটা দিন ধরেই বিভিন্ন কর্মসূচি চলার কথা।
[আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের প্রাপ্য সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি! অভিষেকের প্রশ্নের উত্তরে জানাল কেন্দ্র]
তাতে আলাদা করে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর মুখোমুখি বৈঠক হবে কিনা সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। সম্প্রতি যদিও একাধিকবার মুখোমুখি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এবং নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি রাজ্যের বকেয়া মেটানোর দাবিতে দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। জি-২০ (G-20) প্রস্তুতি বৈঠকেও মুখোমুখি হয়েছিলেন মোদি-মমতা। সম্প্রতি পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও আলাদা করে বৈঠক হয় মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানে রাজ্যের দাবিদাওয়া তুলে ধরেন তিনি। ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা কথা হলে ফের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে সরব হতে পারেন।