shono
Advertisement

Bhawanipore Murder Case: ভবানীপুরে শাহ দম্পতি খুনে পুলিশের জালে আরও ২, অধরা মূল অভিযুক্ত

এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় পুলিশের জালে মোট পাঁচজন।
Posted: 11:14 AM Jun 11, 2022Updated: 11:23 AM Jun 11, 2022

অর্ণব আইচ: ভবানীপুরে শাহ দম্পতি খুনের (Bhawanipore Murder Case) ঘটনায় এখনও জারি ধরপাকড়। ওড়িশার জাজপুর থেকে গ্রেপ্তার আরেক অভিযুক্ত। ধৃত সন্তোষ ওরফে রাহুল ঘটনার সময় শাহ দম্পতির বাড়িতে ঢুকেছিল বলেই জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। বিশাল বর্মন নামে ওই ব্যক্তিকে উত্তরপ্রদেশ থেকে আটক করা হয়। জানা গিয়েছে, হাওড়া লিলুয়া থেকে পালায় সে। এর আগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় পুলিশের জালে মোট পাঁচজন। তবে অধরা মূল অভিযুক্ত। 

Advertisement

উল্লেখ্য, গত ৬ জুন ভরসন্ধেয় ভবানীপুরের হরিশ মুখার্জি রোডে নিজের বাড়িতেই খুন হন গুজরাটি দম্পতি। মাত্র তিনদিনে খুনের কিনারা করে পুলিশ। ভবানীপুরের জোড়া খুনের (Bhowanipore Murder Case) তদন্তে নেমে সন্দেহভাজনদের নামের তালিকা তৈরি করেছিল কলকাতা পুলিশ। তালিকার একেবারে উপরদিকে ছিল মৃত দম্পতির পরিচিত, আত্মীয়দের নাম। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্তে উঠে এসেছে, আক্রোশ মেটাতে দীর্ঘদিন ধরে খুনের পরিকল্পনা করেছিল মূল অভিযুক্ত। টাকার লোভ দেখিয়ে দলে টেনেছিল তিন প্রতিবেশীকেও। সোমবার মূল অভিযুক্তর সঙ্গে তারাও ভবানীপুরের শাহ দম্পতির বাড়িতে গিয়েছিল।

[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া না দিয়ে ফের রেল-রাস্তা অবরোধ হাওড়ায়, কড়া পদক্ষেপের পথে প্রশাসন]

পরিচিতকে দেখে দরজা খুলে দিয়েছিল শাহ দম্পতি। ঘরে বসে দেনা মেটানো নিয়ে আলোচনা চলে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে অশোক শাহের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন মূল অভিযুক্তর ভাই। করোনা কালে তাঁর মৃত্যু হয়। ফলে সেই টাকা মেটানোর দায়িত্ব ছিল মূল অভিযুক্তর। কিন্তু ব্যবসায় মন্দার অজুহাতে সেই টাকা আর ফেরত দেয়নি। ধার মেটানোর জন্য বারবার চাপ দিচ্ছিলেন অশোক শাহ। সেই বিষয়ে কথা বলার অজুহাতে সোমবার শাহ দম্পতির বাড়িতে এসেছিল অভিযুক্তরা।

১ লক্ষের বদলে কম টাকায় দেনা মিটিয়ে দেওয়া যায় কি না তা নিয়ে অশোক শাহের সঙ্গে দর কষাকষি করছিল আততায়ীরা। তাদের জন্য জলও আনেন রশ্মিতা শাহ। তারপরই অশোককে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায় মূল অভিযুক্ত। পরে গুলি করে খুন করা হয় তাঁর স্ত্রীকেও। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তর তিন সহযোগী সুবোধকুমার সিং(৪৫), যতীন মেহতা(৪২) এবং রত্নাকর নাথকে (৩৯) গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। তিনজনই লিলুয়ার বাসিন্দা। তাদের জেরা করেই বাকি দু’জনের খোঁজ পায় পুলিশ। তবে এখনও ফেরার মূল অভিযুক্ত।

[আরও পড়ুন: জেলে রাত কাটিয়ে গালাগাল ভুললেন রোদ্দুর রায়!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement