ঘটনাটি ঠিক কী? জানা গিয়েছে, দমদমের বাসিন্দা ঊষসী এই বছর রবীন্দ্রভারতীর সল্টলেক ক্যাম্পাসে সোশ্যাল ওয়ার্ক নিয়ে স্নাতকোত্তরে ভরতি হন। তার জন্য ১০ হাজার টাকা জমাও দিয়েছিলেন। তবে ভরতি সংক্রান্ত প্রক্রিয়ার জন্য তাঁর নথি খতিয়ে দেখার জন্য তাঁকে ক্যাম্পাসে ডেকে পাঠানো হয়। ঊষসীকে ফোন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মী জানান, বৃহস্পতি এবং শুক্রবার নথি যাচাইয়ের দিন। তাই তাঁকে আসতেই হবে। কিন্তু ঊষসী জানান, তিনি কোভিড পরীক্ষা করিয়েছেন। বৃহস্পতিবারই তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ (Corona Positive) এসেছে। তবে ফোনের ওপার থেকে বলা হয়, যা-ই হোক, তাঁকে ক্যাম্পাসে হাজির হতেই হবে। নাহলে ভরতি প্রক্রিয়াও আটকে যাবে এবং ১০ হাজার টাকাও আর ফেরত দেওয়া হবে না।
[আরও পড়ুন: ‘আগেই উদ্বোধন করেছিলাম’, ক্যানসার হাসপাতালের ভারচুয়াল অনুষ্ঠানে মোদিকে বিঁধলেন মমতা]
এমনকী এও বলে দেওয়া হয়, আর পাঁচজনের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়েই ভেরিফিকেশনের কাজ সারতে হবে। কোনও অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া যাবে না। ওই কর্মীর নির্দেশ মতোই মুখে মাস্ক পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হন তিনি। কারণ পিপিই কিট পরে বাড়ি থেকে বেরলে কোনও গণপরিবহনে তাঁকে উঠতে দেওয়া হবে না, এই আশঙ্কাই করেছিলেন তিনি। এরপরই গোটা বিষয়টি ফেসবুকে পোস্ট করেন ঊষসী। রবীন্দ্রভারতীর উপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানান, “আমি বাকি পাঁচটা সুস্থ লোকের মতো মুখে মাস্ক দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাচ্ছি। আমার থেকে কেউ সংক্রমিত হলে সেই দায়ভার আমার নয়। তা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের।”
জানা গিয়েছে, ঊষসী ক্যাম্পাসে পৌঁছনোর পর কর্তৃপক্ষের কানে বিষয়টি যায়। বুঝতে পারে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেই বড়সড় গলদ হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে গোটা ঘটনার জন্য তাঁর কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়। এবং নথি যাচাই না করেই ছেড়ে দেওয়া হয় ঊষসী। কিন্তু ততক্ষণে যে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতিমধ্যেই রবীন্দ্রভারতীর ভাইস চান্সেলরের কাছেও এ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন ঊষসী। তবে তাঁর তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।