shono
Advertisement

‘সভ্যতা’বাঁচানোর লড়াই, বিজেপিকে রুখতে ‘মমতাদিদি’র পাশেই তেজস্বী

তৃণমূল-আরজেডির আসন সমঝোতা নিয়ে কোনও ইঙ্গিত মিলল না।
Posted: 05:07 PM Mar 01, 2021Updated: 12:16 AM Mar 02, 2021

মলয় কুণ্ডু: মূল লক্ষ্য বিজেপিকে প্রতিহত করা, দেশের সভ্যতাকে বাঁচানো। একুশে বঙ্গের ভোটের আগে সেই লড়াইয়ে ‘মমতাদিদি’কে পূর্ণ সমর্থনের বার্তা স্পষ্ট করে দিলেন আরজেডি (RJD) নেতা তেজস্বী যাদব (Tejaswi Yadav)। সোমবার বিকেলে নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে বৈঠকের পর বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তেজস্বী বলেন, ”বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে যেভাবে চান, তৃণমূলের পাশে থাকব। পূর্ণশক্তি দিয়ে সমর্থন করব। কারণ, আমাদের সকলের মূল লক্ষ্য, বিজেপিকে রুখে দেওয়া। সভ্যতা বাঁচাতে বিজেপিকে হঠাতেই হবে। তৃণমূলের লড়াই মানে আমাদের লড়াই।”

Advertisement

পাশাপাশি তৃণমূলের ধর্মনিরপেক্ষতাকেও তিনি আদর্শগতভাবে সমর্থন করেন বলেও জানিয়েছেন তেজস্বী যাদব। অপরদিকে, তেজস্বীকে ধন্যবাদ জানিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিলেন মমতাও। গতবার বিহারের নির্বাচনে তেজস্বীর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কথা থাকলেও বিজেপি কৌশলে সেই সম্ভাবনা নষ্ট করেছে, সে বিষয়ে ফের অভিযোগ তুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যদিও তৃণমূল-আরজেডির মধ্যে কোনও আসন সমঝোতা হল কি না, তা নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করলেন না মমতা কিংবা তেজস্বী।

[আরও পড়ুন: লড়াইয়ের ময়দান নন্দীগ্রামই, ভবানীপুরে প্রার্থী নাও হতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়]

তৃণমূলের প্রতি আরজেডি-র এই সমর্থন প্রত্যাশিতই ছিল। রবিবারই কলকাতায় পা রেখে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বার্তা দিয়েছিলেন, ধর্মনিরপেক্ষতাকে সামনে রেখেই চলবে আরজেডি। তাতেই বোঝা গিয়েছিল, এবারের ভোটে তৃণমূলকে সমর্থন দিতে চলেছে লালুপ্রসাদের দল। পাশাপাশি এই গুঞ্জনও  শোনা গিয়েছিল, হিন্দিভাষী এলাকার কয়েকটি কেন্দ্র আরজেডি-কে ছাড়তে পারে তৃণমূল। তবে এ নিয়ে উভয়ের বৈঠকে কোনও আলোচনা হয়েছে কি না, তা অজানাই। তেজস্বীর বক্তব্য, ”বাংলায় অনেক বিহারি থাকেন। আপনাদের সকলের কাছে আমার আহ্বান, সকলে মমতাদিদির পাশে থাকুন, তাঁর হাত শক্ত করুন।”  অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিহারের গত নির্বাচনী ফলাফলের কথা উল্লেখ করে বলেন, ”ভোটের ফলে তো তেজস্বীই মুখ্যমন্ত্রী হতেন, কিন্তু কৌশলে তাঁকে কীভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে, তা আমরা সবাই জানি। পরবর্তী নির্বাচনে তেজস্বী জয়ী হোক, এই শুভেচ্ছা রইল।” 

[আরও পড়ুন: ব্রিগেড সমাবেশে এসে নিখোঁজ ২ বামকর্মী, উদ্বেগে পরিবার]

বিহারে আগের নির্বাচনে সিপিএম-সহ বামপন্থী দলগুলির সঙ্গে জোট রয়েছে আরজেডির। আর বঙ্গে তৃণমূলকে সমর্থন করা মানে সিপিএমের বিরোধিতা। এই সমীকরণটা কেমন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে তেজস্বী জানান যে আরজেডি-র লড়াই মূলত বিজেপি বিরোধী। তাই বঙ্গে দলের যে কৌশলগত অবস্থান, বিহারে তার প্রভাব পড়বে না।  

রাতের দিকে তৃণমূল সাংসদ তথা যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গেও দেখা করেন তেজস্বী। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনাও হয়।

আলোচনায় তেজস্বী-অভিষেক
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement