শুভঙ্কর বসু: কলকাতা পুরভোটে (Kolkata Civic Polls 2021) বুথ এজেন্ট হওয়ার নিয়ম বদলাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বুথের ভোটার ছাড়া অন্য কেউ ওই বুথের এজেন্ট হতে পারবেন না। সূত্রের খবর, তৃণমূলের এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। যদিও তাঁদের এহেন নির্দেশিকার বিরোধিতা করছেন বিরোধীরা। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দাবি, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে জটিলতা এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, বুথের চারপাশে ১৪৪ ধারা জারি এবং বুথে মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়কদের প্রবেশ নিয়েও বিশেষ নির্দেশিকা জারি করল কমিশন।
শুধুমাত্র বুথের ভোটারই সেই বুথের এজেন্ট (Booth Agent) হতে পারবেন। কিছুদিন আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এক বৈঠকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা দেবাশিস কুমার। সেই প্রস্তাবেই কমিশন সিলমোহর দিল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুয়া: ফের এসএসসির নিয়োগে ‘দুর্নীতি’, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে বেতন বন্ধ ‘ভুয়ো’ কর্মীর]
এই সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে কমিশনের যুক্তি, বুথের ভোটার এজেন্ট হলে সমস্ত ভোটারকে তিনি চিনবেন। আবার ভোটাররাও এজেন্টকে চিনবেন। ফলে জটিলতা তৈরির সম্ভাবনা কম। আবার করোনা পরিস্থিতিতে দূর থেকে এজেন্টদের আনার প্রয়োজন পড়বে না। যদিও কমিশনের এই সিদ্ধান্তে ‘না খুশ’ বিরোধীরা।
কমিশন আরও জানিয়েছে, ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে বুথের চারপাশে ২০০ মিটার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হবে। ভোটগ্রহণের দিন কেন্দ্রীয় বা রাজ্যের মন্ত্রী, সাংসদ বা বিধায়করা নিজেদের দেহরক্ষী নিয়ে বুথে ঢুকতে পারবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। প্রসঙ্গত, উপনির্বাচনের সময় একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা সাংসদরা দেহরক্ষী নিয়ে বুথে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল। যা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। এবার সেই জটিলতা এড়াতেই এবার তড়িঘড়ি নির্দেশিক জারি করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।