সুলয়া সিংহ ও পারমিতা পাল: মা-মাটি-মানুষের দল তৃণমূল। এখানকার মূল মন্ত্রই নিবিড় জনসংযোগ। নিতান্ত পেশাদারি ভাবে নয়, জনতার মন বুঝে, সুবিধা-অসুবিধা বুঝে তবেই তাঁদের জন্য কাজের ময়দানে নামতে হবে। দলের প্রত্যেক কর্মীকে কাজের মন্ত্র বেঁধে দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তৃণমূলে তাই বেশ কয়েকজন তারকা সাংসদ, বিধায়ক থাকলেও তাঁরা আসলে জনপ্রতিনিধি, জনতার কাছের মানুষ। শনিবার অন্তত তেমনটাই বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। কলকাতার স্ট্রিট ফুডের জন্য বিখ্যাত ডেকার্স লেনে ফুটপাথে বসেই খাওয়াদাওয়া সারলেন তিনি। সঙ্গী দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।অথচ শুক্রবারই ‘দিদির দূত’ হয়ে জনসংযোগ করতে গিয়ে বীরভূমের একটি গ্রামে মধ্যাহ্নভোজ নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। আর আজ ফুটপাথে খেতে খেতেই বুঝিয়ে দিলেন, বিতর্ক নিতান্তই অমূলক।
রোজকার মতো শনিবারও ব্যস্ততা ছিল অফিসপাড়ায়। দুপুরবেলা মধ্যাহ্নভোজ সারতে ডেকার্স লেনের (Decres Lane) প্রতিটি দোকানে ভিড়। দম ফেলার ফুরসৎ নেই দোকানিদের। তারই মধ্যে আচমকা তারকার উদয়! ডেকার্স লেনের বেশ নামী দোকান ‘ক্লাসিক ফাস্ট ফুড সেন্টার’-এ এসে দাঁড়ালেন শতাব্দী রায়, সঙ্গী কুণাল ঘোষ। দেখে প্রথমে বিশ্বাসই হচ্ছিল না ‘ক্লাসিক ফাস্ট ফুড সেন্টার’-এর মালিকের। সত্যিই তাঁর দোকানে এসেছেন শতাব্দী! সাংসদ জানালেন, তিনি খেতেই এসেছেন। ফুটপাথে একটি চেয়ার নিয়ে বসে দিব্যি তাড়িয়ে তাড়িয়ে খেলেন ক্লাসিকের বিখ্যাত বাসন্তী পোলাও, লেমন ফিশ (Lemon Fish)।
দেখুন ভিডিও:
তাঁর সঙ্গে ফুটপাথে বসে খাওয়াদাওয়া সারলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। তাঁর প্লেটেও একই খাবার। ততক্ষণে ডেকার্স লেনে রোজ খেতে যাওয়া মানুষজন ভিড় জমিয়েছেন তারকাকে দেখতে। শান্তিনিকেতনী স্টাইলের কুর্তা-পাজামায় শতাব্দীর সাজ আজ অনেকটাই সাদামাটা।
[আরও পড়ুন: ‘সবই টিআরপির জন্য’, ঘৃণাভাষণ ছড়ানোর দায়ে টিভি চ্যানেলগুলিকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের]
শুক্রবার বীরভূমের (Birbhum) হাসনে গিয়েছিলেন ‘দিদির দূত’ শতাব্দী রায়। সেখানে তাঁর মধ্যাহ্নভোজ নিয়ে একটি বিতর্ক তৈরি হয়। ছবিতে দেখা যায়, থালা সাজিয়ে খেতে বসার পরও তিনি না খেয়ে উঠে যান। এদিন ডেকার্স লেনে খেতে খেতে সেই বিতর্কের ব্যাখ্যাও দিলেন শতাব্দী। তাঁর কথায়, ”আমি ওঁদের ঘরে বসে খেয়েছি। আমি যখন খাচ্ছিলাম, তখন সাংবাদিকরাও সিমেন্টের ঘরে বসে খাচ্ছিলেন। কাজেই যা দেখানো হয়েছে, আমি খাইনি বলে, তা একেবারেই ঠিক নয়। এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের আরও দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা উচিত বলে আমি মনে করি।”
দেখুন ভিডিও: