সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শত আন্দোলনেও চাকরির রাস্তা প্রশস্ত হয়নি। বরং আদালতের নির্দেশে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে গিয়েছে। এতে বেদম ক্ষুব্ধ কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার (SLST) চাকরিপ্রার্থীরা। তবে আদালতের উপর যত না ক্ষোভ, তার চেয়ে ঢের বেশি রাগ তাঁদের বামেদের উপর। সিপিএম (CPM) নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য তাঁদের ‘ন্যায়’ পাইয়ে দিতে আদালতে মামলা করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন! সেই কারণেই তাঁরা এখন বিশ বাঁও জলে। আন্দোলনকারীদের দাবি, এরপর তাঁরা সিপিএমের সদর দপ্তর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের পার্টি অফিস বন্ধ করে দেবেন। কাউকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হবে না। কারণ, তাঁদের নিয়ে বামেদের এই রাজনীতি তীব্র নিন্দনীয়।
উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কমিশন নতুন করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কর্মশিক্ষায় অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে ৭৫০ পদে নিয়োগ করা হবে। কিন্তু হাই কোর্টের (Calcutta HC) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু মঙ্গলবার সেই প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ (Stay order) জারি করে। এসএসসি-র কাছে রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তাতে আটকে যায় নিয়োগ প্রক্রিয়া। বৃহস্পতিবার শুনানির সময় হাই কোর্ট মন্তব্য করে, রাজ্য এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) অবস্থান এক না হয়, তবে কমিশন ভেঙে দেওয়া হোক।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাংলার প্রাপ্তি, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় অর্থ বরাদ্দ করল কেন্দ্র]
এই পরিস্থিতিতে আন্দোলন তীরে এসে তরী ডোবার মতো অবস্থায় এসে বিক্ষোভকারীরা কার্যত দিশেহারা। ব্যাপক ক্ষুব্ধ তাঁরা। কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা চাকরিপ্রার্থী আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি রাজু দাস হুঁশিয়ারির সুরেই বলেন, ‘‘আমরা সরকার বিরোধী আন্দোলন করেছি এতদিন, এবার সিপিএমের আলিমুদ্দিন স্ট্রিট ঘেরাও করব। বামপন্থী আইনজীবী যাঁরা আছেন, তাঁরা ভাল করে শুনে রাখুন, আপনারা যেভাবে আমাদের পাশে ছিলেন তেমন যদি না থাকেন, যদি বিরোধিতা করেন তা হলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিপিএমের অস্তিত্ব শেষ করে দেব।’’ শুক্রবার থেকে আলিমুদ্দিন ঘেরাও কর্মসূচি রয়েছে তাঁদের।
[আরও পড়ুন: ভারত জোড়ো যাত্রায় বেজে উঠল নেপালের জাতীয় সংগীত! বিজেপির রোষের মুখে রাহুল]
কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা চাকরির নিয়োগে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের নেপথ্যে তাঁরা বামপন্থী আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে দায়ী করছেন। তাঁদের অভিযোগ, ”এই মামলাটি যিনি উত্থাপন করেছেন, তিনি বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। শূন্য পদ থাকলে প্যানেলে থাকা প্রার্থীদের নিয়োগ করাই নিয়ম। কিন্তু এক্ষেত্রে তিনি ওই প্যানেলের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আমাদের বাধা দেওয়ার চক্রান্ত করছেন।”