shono
Advertisement
Speaker Biman Banerjee

‘বিধানসভা বেড়াতে আসার জায়গা নয়', শাসক শিবিরের মন্ত্রী-এমএলএদের উপস্থিতিতে অসন্তুষ্ট স্পিকার

বাজেট অধিবেশন বলেই এবার উপস্থিতি নিয়ে কড়াকড়ি ছিল এমনকী, তিন লাইনের হুইপ জারি করতে হয় শাসকদলকে।
Published By: Subhankar PatraPosted: 09:35 PM Mar 20, 2025Updated: 09:35 PM Mar 20, 2025

স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্য বিধানসভায় একাধিকবার এমন ঘটতে দেখা যাচ্ছে। অধিবেশন চলছে, অথচ গরহাজির শাসক শিবিরের মন্ত্রী, বিধায়করাই! এ নিয়ে ক্ষোভ জানাতে শোনা গিয়েছে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নরমে-গরমে দু-চার কথা শুনিয়েওছেন তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার বাজেট অধিবেশনের শেষদিনে রীতিমতো রুষ্ট হয়ে তাঁকে বলতে হল, "এমন অনেক দিন হয়েছে অধিবেশনে শাসক দলের উপস্থিতির হার বেশ চিন্তায় ফেলেছে। সকালে অধিবেশন শুরু করতে গিয়ে মাঝেমাঝে ভাবনায় পড়তে হয় যে, কোরাম করতে পারব কিনা। অন্তত ৭ জন মন্ত্রীর উপস্থিতি বাধ‌্যতামূলক। বিধায়কদেরও একটা বড় অংশ আসতে দেরি করেন। যার জন‌্য আমারও মাঝেমাঝে অধিবেশন শুরু করতে দেরি হয়ে যায়। মনে রাখবেন বিধানসভাটা বেড়াতে আসার জায়গা নয়।"

Advertisement

তাঁর লক্ষ্য ছিলেন দলের মন্ত্রী-বিধায়করাই। বিরোধী বিজেপি শিবিরের যথারীতি কেউই ছিলেন না। বিরোধী বলতে ছিলেন একমাত্র আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। বিজেপি বিধায়কদের বয়কটের রাজনীতি নিয়ে তো অধ‌্যক্ষ-সহ শাসক দল, এমনকী, আরেক বিরোধী নওশাদও প্রশ্ন তুলেছেন। বাজেট অধিবেশন বলেই এবার উপস্থিতি নিয়ে কড়াকড়ি ছিল এমনকী, তিন লাইনের হুইপ জারি করতে হয় শাসকদলকে।

বাজেটের জন‌্য এদিন অ‌্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিল এবং ফিসক‌্যাল রেসপনসিবিলিটি অ‌্যান্ড বাজেট ম‌্যানেজমেন্ট বিল পাস হয়। এ নিয়ে আলোচনায় অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, "কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সত্ত্বেও রাজ্যের মানুষের উপর একটাও করের বোঝা চাপাননি মুখ‌্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায়। বামফ্রন্ট এই রাজ‌্যকে ঋণগ্রস্ত রাজ্যে পরিণত করে গিয়েছে। আর আর্থিক সীমা মেনেই চলছে বর্তমান সরকার।" আরও বলেন, "ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কখনওই অর্থনৈতিক সীমা লঙ্ঘন করা হয়নি। আমরা মাত্রা ছাড়িয়ে যাই না। আমাদের মাত্রা ৩ শতাংশ। রাজ্যের বার্ষিক গড় উৎপাদনের ৩ শতাংশ ঋণ নেওয়া যাবে এটা তো ২০১০ সালের আইনেই ছিল।" পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নিয়ম মেনে 'পাওয়ার সেক্টরে' জিএসডিপি ০.৫ শতাংশ বাড়ানোর সুযোগ তৈরি করে রাখল রাজ‌্য। ২০২৯-৩০ সাল পর্যন্ত এই সংশোধনী করে রাখা হল।

যদিও মধুরেন সমাপয়েত হয় স্পিকারের অনুরোধে দুই মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন ও বাবুল সুপ্রিয়র গানে। বাবুল গান 'তোমারেই করিয়াছিল জীবনেরও ধ্রুবতারা', ইন্দ্রনীল 'ধ্রুবতারা' শব্দটি ধার করে বলেন, "যাঁর জন‌্য এই বিধানসভায় আসতে পেরেছি সেই মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায়ই আমার জীবনের ধ্রুবতারা।" মুখ‌্যমন্ত্রীর লেখা-সুর করা গানই শোনান ইন্দ্রনীল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • রাজ্য বিধানসভায় একাধিকবার এমন ঘটতে দেখা যাচ্ছে। অধিবেশন চলছে, অথচ গরহাজির শাসক শিবিরের মন্ত্রী, বিধায়করাই!
  • এ নিয়ে ক্ষোভ জানাতে শোনা গিয়েছে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
  • নরমে-গরমে দু-চার কথা শুনিয়েওছেন তিনি।
Advertisement