দক্ষিণ আফ্রিকা: ১১৭/১০ (মার্করাম-৬১, ফেরেইরা-২০, বরুণ- ১১/২)
ভারত: ১২০/৩ (অভিষেক-৩২, গিল-২৮, তিলক-২৫, জ্যানসেন-২৪/১)
ভারত জয়ী ৭ উইকেটে
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এমনিতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বোলারের বদলে বোলিং মেশিন থাকলেও চলে। কারণ ব্যাটাররাই সব, চার-ছয়ের বন্যা দেখতে আসে দর্শক। তবু ক্রিকেট ঈশ্বরের ইচ্ছায় একেক দিন বদলে যায় পরিস্থিতি। রবিবার ছিল তেমনই এক বিরল দিন। ফলে ব্যাটসম্যান নয়, ভারতীয় বোলারদের দাপটের সাক্ষী থাকল ধরমশালার মাঠ। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে টিম ইন্ডিয়ার বোলারদের সামনে রীতিমতো চোখে সর্ষেফুল দেখল প্রোটিয়া বাহিনী। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শেষ হল ১১৭ রানে। হাসতে হাসতে সেই রান তুলে ফেলল সূর্যকুমার যাদবের ভারত। দুরন্ত বল করলেন অর্শদীপ-হর্ষিত-বরুণরা। ব্যাট হাতে জয়ের পথ দেখালেন অভিষেক শর্মা (৩২), শুভমন গিল (২৮) এবং তিলক বর্মা (২৫)। তৃতীয় টি-টোয়েন্টি জিতে সিরিজে লিড নিল মেন ইন ব্লু।
রবিবার টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে দু’টি বদল হয় ভারতীয় দলে। জশপ্রীত বুমরাহ এবং অক্ষর প্যাটেলের জায়গায় এসেছেন গম্ভীরের প্রিয় হর্ষিত রানা এবং কুলদীপ যাদব। পরের দিকে শিশির পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন সূর্য। তাঁর এই সিদ্ধান্ত যে একেবারে সঠিক ছিল, তা বোঝা গেল খেলা শুরু হতেই।
প্রথম ওভারেই হেনড্রিক্সকে (০) ফেরান অর্শদীপ। এর পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই হর্ষিতের বলে সাজঘরে ফেরেন ডি কক (১)। ব্যক্তিগত ঝুলিতে আরও একটা উইকেট আসে হর্ষিতের। ভারতীয় পেসারের বলে মাত্র ২ রানে ফেরেন ব্রেভিস। প্লেড অন হন তিনি। একে একে ফিরে যান স্টাবস (৯), বশ (৯), দোনোভান (২০), জানসেন (২)। উইকেট পান বরুণ চক্রবর্তী, পাণ্ডিয়া, শিবম দুবেরা। তবে শেষের দিকে চালিয়ে খেলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সম্মানজনক স্কোরে নিয়ে যান তাদের অধিনায়ক। ৪০ বলে ৪৬ রানের অসাধারণ ইনিংসের পর সাজঘরে ফেরেন তিনি। শেষ ওভারে দু’টি উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। ১১৭ রানে গুটিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। অর্শদীপ, হর্ষিত, বরুণ, কুলদীপ নেন দু’টি করে উইকেট। পাণ্ডিয়া এবং শিবম দুবে ভাগ করে নেন ১টি করে উইকেট।
ব্যাটারদের কাজটা কঠিন ছিল না। প্রোটিয়া বোলিং অ্যাটাককে সামলে রান তোলায় সফল অভিষেক শর্মা। ১৮ বলে ৩৫ রানের জরুরি ইনিংস খেলেন তিনি। এক সময় মনে হচ্ছিল অভিষেক-গিলের জুটিতেই (৬০) জয়ের রানে পৌঁছে যাবে ভারত। যদিও শেষ পর্যন্ত তেমনটা ঘটেনি। ব্যক্তিগত ২৮ রানের মাথায় মার্কো জ্যানসেনের বলে বোল্ড আউট হন গিল। অর্থাৎ কিনা এবারও দায়িত্ব নিয়ে বড় ইনিংস খেলে ম্যাচ জেতাতে ব্যর্থ তিনি। শেষ ছ’টি টি-টোয়েন্টিতে তাঁর রান যথাক্রমে ০, ৪, ২৯*, ৪৬, ১৫, ৫। দলে ফিরে আসার পর থেকে ১৪ ইনিংসে তাঁর রান মাত্র ২৬৩। গড় ২৩.৯০। স্ট্রাইকরেট ১৪২.৯৩। এরমধ্যে একটিও হাফসেঞ্চুরি নেই। শনিবার এর সঙ্গে জুড়ল ২৮ রানের ইনিংস। এবার কি বাদ পড়বেন গিল?
একই অবস্থা সূর্যকুমার যাদবেরও। কম রানের ম্যাচে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়া অবস্থায় নেমেছিলেন অধিনায়ক। তারপরেও লুঙ্গি এনগিডির বলে শিশুসুলভ ক্যাচ তুলে আউট হলেন সূর্য। এর ফলে ম্যাচ ফিনিস করতে শিবম দুবেকে মাঠে নামতে হল। অন্যদিকে ২৫ রানে নটআউট থাকলেন তিলক বর্মা। ভারত ম্যাচ জিতলেও বেশ কিছু প্রশ্ন থেকেই গেল।
