ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: প্রশাসনিক অনুমতি নেই, নেই আইনি মান্যতা তবু উৎসবের মেজাজে চলছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের (Calcutta Medical College) ছাত্র ভোট। বৃহস্পতিবার অডিটোরিয়ামে ভোট প্রক্রিয়ার আয়োজন করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা লাইন দিয়ে এসে নিজেদের ভোট দিয়ে যাচ্ছেন। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে পুরো ভোটপ্রক্রিয়াটি ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে। কড়া নজর রাখছেন চার বিশিষ্ট ব্যক্তি। সবমিলিয়ে ছাত্র সংসদের ভোট ঘিরে উৎসবের মেজাজে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে।
একদিকে ছাত্র সংসদের জন্য ভোট চলছে। নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই করছেন হবু ডাক্তাররা। অথচ কোনও রক্তারক্তি নেই, অশান্সি নেই। নেই পুলিশের কড়া নজর। ভোটের পাশেই ২০০ বছরের পুরনো চিকিৎসা কেন্দ্রে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চলছে আউটডোর। হাজার হাজার রোগীরা আসছেন চিকিৎসা করাতে। এদিন তাঁরাও এসে একবার করে দেখে গেলেন এই ছাত্রভোট। চাক্ষুষ করলেন অধিকারের লড়াই। নিজেদের মধ্য়ে বলাবলি করলেন, “এমনটাও হয়?”
চার বছরের মোট ২০টি আসনের জন্য় ভোটগ্রহণ হচ্ছে। ভোটার প্রায় এক হাজার পড়ুয়া। ভোট দিতে পারবেন সকলেই। প্রার্থী ৩১ জন। ফাইনাল ইয়ারের কোনও ছাত্র ভোটে প্রার্থী হননি। তবে এই ছাত্র সংসদ প্রশাসনিক মান্য়তা পাবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ প্রসঙ্গে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবু কার্যত উৎসবের মেজাজে ভোট দিচ্ছেন পড়ুয়ারা। বিকেল তিনটের পর ভোট গণনা শুরু হবে।
[আরও পড়ুন: স্বদেশের টান! বিদেশের ডাক্তারি ডিগ্রি ছেড়ে মহারাষ্ট্রের পঞ্চায়েত প্রধান একুশের তরুণী]
২২ ডিসেম্বর ছাত্রভোট চাই, এই দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। এমনকী, টানা ১২ দিন অনশন করেন ৬ মেডিক্যাল পড়ুয়া। তবু প্রশাসনের তরফে ভোটের জন্য় সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি। অগত্যা সাধারণ সভায় ঠিক হয় ৪ বিশিষ্ট ব্যক্তির নজরদারিতে ২২ তারিখ ভোট হবে। সেই মতো এসওপি জারি করে তারা। এদিন সেই নিয়ম মেনেই সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে।
বুধবার বিকেলে মেডিক্যাল কলেজ অডিটোরিয়াম পরির্দশন করেন ডা বিনায়ক সেন, অম্বিকেশ মহাপাত্র, সুজাত ভদ্র এবং বোলান গঙ্গোপাধ্যায়। সন্ধ্যায় তিন ছাত্র মেডিক্যাল কলেজের পুলিশ ফাঁড়ির থেকে অনুমতি আদায় করতে যান। ভোটের পক্ষে থাকা ছাত্রদের দাবি আটজন পুলিশকে মোতায়েন করা হবে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: করোনা নিয়ে দেশে বাড়ছে উদ্বেগ, পরিস্থিতি পর্যালোচনায় জরুরি বৈঠকে মোদি]
কলেজ কাউন্সিল বা স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি ছাড়া এই ভোটের আইনি বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অধ্যক্ষ ডা ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বা উপাধ্যক্ষ ডা অঞ্জন অধিকারী কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে ভোটের প্রার্থী এবং কলেজ ক্যাম্পাস সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য স্বাস্থ্যসচিব ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধির্কতাকে জানানো হয়েছে। তাঁরাও বিষয়টিতে নজর রাখছেন