ফারুক আলম ও রমেন দাস: যুবভারতী-কাণ্ডে (Yuva Bharati Chaos) ধৃত শতদ্রু দত্তের (Satadru Dutta) ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই আজ রবিবার বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয় তাঁকে। শুনানিতে জামিনের আবেদন খারিজ করে ধৃত শতদ্রুর ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। অন্যদিকে এদিন যখন আদালতে শতদ্রুকে তোলা হচ্ছে, সেই সময় বাইরে থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে 'চোর চোর' স্লোগান দেওয়া হয়। এমনকী জুতো হাতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। যা নিয়ে আদালতের বাইরে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
মেসিকে কলকাতায় আনার প্রধান কারিগর ছিলেন শতদ্রু দত্ত। যুবভারতীর বিশৃঙ্খলার পরে শনিবার কলকাতা বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুটি মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বিধাননগর দক্ষিণ থানায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়। অশান্তি, ভাঙচুর, হিংসা ছড়ানো সহ ভারতী ন্যায় সংহতির ১৯২, ৩২৪ (৪)(৫), ৩২৬ (৫), ১৩২, ১২১ (২), ৪৫, ৪৬ এবং নাশকতামূলক কার্যকালাপ ছড়ানোর ও জনগনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়। এমনকী শতদ্রুর বিরুদ্ধেও একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ।
কড়া নিরাপত্তায় আদালত থেকে বের করা হচ্ছে শতদ্রু দত্তকে।
সেই মামলাতেই এদিন আদালতে তোলা হয় ধৃত মুল অভিযুক্তকে। শতদ্রুর আইনজীবী এদিন জানান, ''আয়োজক এবং ইভেন্ট ম্যানেজারের কাজ দু'রকম। উনি মেসিকে আনার পিছনে মহৎ উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু পরিস্থিতির শিকার।'' এমনকী যুবভারতীতে ভাঙচুরের ঘটনায় কোনওভাবেই শতদ্রু দত্ত জড়িত নন বলেও জানান তাঁর আইনজীবী। শুধু তাই নয়, বিশৃঙ্খলার দায় দর্শকদের উপরেও এদিন চাপান আইনজীবী। তাঁর কথায়, ''যেভাবে দর্শকরা চেয়ার ছুড়ে, ভাঙচুর চালিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে তা ঠিক নয়।''
অন্যদিকে এদিন যুবভারতী স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম কুমার রায়ের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে রয়েছেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, ক্রীড়া সচিব রাজেশ সিনহা প্রমুখ। যৌথভাবে কমিটির সদস্যরা গোটা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন।
