রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: সংখ্যালঘু তোষণ এবং বিভাজন নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিঁধতে গিয়ে তৃণমূলের পালটা তোপের মুখে পড়লেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার রেড রোডে রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সভা থেকে শুভেন্দু অভিযোগ করেন, রাজ্যের শাসক দল তোষণের রাজনীতি করছে। অহেতুক বিভাজন সৃষ্টি করা হচ্ছে। NRC নিয়েও ভয় দেখানো হচ্ছে। পালটা তৃণমূল বিরোধী দলনেতাকে মনে করিয়ে দিল, শুভেন্দুই তো একসময় তৃণমূলের মঞ্চ থেকে এই বিজেপির বিরুদ্ধে ভেদাভেদের অভিযোগ তুলতেন।
বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বিরোধী দলনেতা এদিন বলেন, ‘‘বিভাজনের রাজনীতি তৈরি করছে তৃণমূল। তোষণের রাজনীতি চলছে। সংখ্যালঘুরা সরে যাচ্ছে তৃণমূলের দিক থেকে।’’ পালটা বিরোধী দলনেতাকে কড়া জবাব দেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও (Kunal Ghosh)। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এসব অযৌক্তিক কথাবার্তা। সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরুরা সকলেই তৃণমূলের সঙ্গে আছেন। আর শুভেন্দুই তো একসময় তৃণমূলের মঞ্চ থেকে এই বিজেপির বিরুদ্ধে ভেদাভেদের অভিযোগ তুলেছিলেন। ওঁর কাজই হচ্ছে কুৎসা করা।’’
[আরও পড়ুন: ২৫০ বাইকের হদিশ নেই, ফের কোটি টাকার গাড়ি কিনল বঙ্গ বিজেপি ]
সংখ্যালঘুদের মুখ্যমন্ত্রী এনআরসি জুজু দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। এদিনের মঞ্চে তিনি বলেন,”মমতা সংখ্যালঘুদের বোঝানোর চেষ্টা করছে যে বিজেপি এলে তারা নিরাপদ থাকবে না। আর সেই সঙ্গে এনআরসি চাষ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। NRC নিয়ে মুসলিমদের ভয় দেখানো হচ্ছে।” সেই অভিযোগের জবাব দিয়ে কুণাল বলেন, ‘‘NRC-CAA একটা সামাজিক সমস্যা তৈরি করছে। এর প্রতিবাদ তো যে কোনও সুস্থ লোকই করবে। রুটি-কাপড়া-মাকানের লড়াই থেকে নজর ঘোরাতেই ধর্মীয় ভেদাভেদ করছে বিজেপি। ধর্মের ভেদাভেদ করে ঘৃণার ভাষণ দিচ্ছেন শুভেন্দু। ওকে গ্রেফতার করার সময় এসে গিয়েছে।’’
[আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তাপস মণ্ডল, কী বললেন? ]
এদিন তৃণমূলকে পরিবারতন্ত্র নিয়েও নিশানা করেছিলেন শুভেন্দু। তাতে উলটে তৃণমূলেরই তোপের মুখে পড়লেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুকে কার্যত তুলোধনা করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী বলছে পরিবারবাদের কথা। অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডে শিশির-শুভেন্দু-দিব্যেন্দু-সৌমেন্দু অধিকারীরা দিনের পর দিন তৃণমূলের দয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) স্নেহে সাংসদ-বিধায়ক-কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-রাজ্যের মন্ত্রী হয়েছেন। বিভিন্ন বোর্ড, পর্ষদ, কর্পোরেশন, এগুলির চেয়ারম্যান ও পুরসভার পদে থেকেছেন। অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেড গোটা মেদিনীপুরে অন্য কাউকে উঠতে দেয়নি। তাঁর মুখে পরিবারবাদ। লজ্জা করছে না শুভেন্দুর। ওঁর মুখে পরিবারবাদের কথা শুনে তৃণমূল তো ছেড়ে দিন, বিজেপির লোকেরাও হাসবে।’