shono
Advertisement

নিশীথের কনভয়ে হামলা নিয়ে রাজ্যের রিপোর্ট তলব রাজভবনের, অমিত শাহকে চিঠি শুভেন্দুর

গেরুয়া শিবিরের ভূমিকাকে তীব্র কটাক্ষ কুণাল ঘোষের।
Posted: 07:31 PM Feb 26, 2023Updated: 07:42 PM Feb 26, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কনভয়ে হামলার ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি। শনিবার দিনহাটার ঘটনায় গেরুয়া শিবিরের অভিযোগের তিরে বাংলার শাসকদল। আর তৃণমূলের দাবি, ওটা দিনহাটার সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এনিয়ে দুই শিবিরের মধ্যে বাকযুদ্ধ চলছেই। এই পরিস্থিতিতে আরও একধাপ পা বাড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবারই তিনি রাজভবনে গিয়ে নালিশ করে এসেছিলেন তিনি। আর রবিবার দলের সাংসদের কনভয়ে হামলার ঘটনায় কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন। এদিকে, ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল। এনিয়ে একটি লিখিত বিবৃতি জারি করেছেন তিনি।

Advertisement

রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শনিবারের ঘটনার নিন্দার পাশাপাশি শুভেন্দু জানান, সকালে ইমেল মারফত তিনি অমিত শাহর (Amit Shah) দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। সেখানে শুভেন্দু রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারির পক্ষে সওয়াল করেছেন। বিশেষত ওই এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাইলেন বিরোধী দলনেতা। যদিও শনিবারই ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে অমিত শাহকে ফোন করেছিলেন নিশীথ প্রামাণিক।

[আরও পড়ুন: বায়োপিকে সিলমোহর? ছবির প্রচারে এসে ইডেনে সৌরভের মুখোমুখি রণবীর কাপুর]

এদিকে এই ঘটনা ঘিরে রাজ্য ও রাজভবনের মধ্যে হালকা চাপানউতোর শুরু হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর নালিশের ভিত্তিতে রবিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose) রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন। এ বিষয়ে লিখিত বিবৃতি জারি করে তাঁর বক্তব্য, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর রাজভবন। কিছু ঘটলে রাজভবন চুপ করে বসে থাকবে না। সূত্রের খবর, তিনি নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে ফোনে ব্যক্তিগতভাবে কথাও বলেছেন।

[আরও পড়ুন: গোরক্ষকদের হাতে ২ সংখ্যালঘুর মৃত্যু, হরিয়ানায় দাঙ্গা পরিস্থিতি, বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা]

যদিও দিনহাটার ঘটনা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের এই তৎপরতা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর মন্তব্য, ”বেল পাকলে কাকের কী? ওরা যতই ৩৫৬, ৩৫৭ ধারা জারির দাবি করুক, ওদের জন্য তো হারই শিরোধার্য। তৃণমূলের মতো জনসমর্থন তো নেই ওদের। রাজভবনের উঠোন, সিবিআই, ইডি – এইসব হাতিয়ার ওদের। ওতে আর যাই হোক, ভোটে জেতা যায় না।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement