অর্ণব আইচ: ফের শিশু বিক্রির চক্রের পর্দাফাঁস কলকাতায় (Kolkata)। মাত্র ৩০ হাজার টাকায় ২৩ দিনের শিশুকন্যাকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে আনন্দপুর থানা (Anandpur PS) এলাকার বাণতলা বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হল তিনজনকে। পুলিশ সূত্রে খবর, শিশুর দাদু এবং দিদা মিলেই বিক্রির ছক কষেছিল। এতে আরও কয়েকজন জড়িত। চৈতালি চক্রবর্তী নামে এক মহিলার কাছ থেকে শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকেও। এই চৈতালির কাছেই কি বিক্রি করা হয়েছিল ছোট্ট মেয়েটিকে? এই প্রশ্ন উঠছে। তদন্তে আনন্দপুর থানার পুলিশ।
গত ১২ তারিখ আনন্দপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন নীলম কুমারী নামে এক তরুণী। তাঁর অভিযোগ, সদ্যোজাত মেয়েকে (Newborn) খুঁজে পাচ্ছেন না। শিশুকন্যাকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে ধারণার কথাও পুলিশকে জানান নীলম। তাঁর সন্দেহের তালিকায় ছিলেন বাবা এবং সৎ মা। এই অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে আনন্দপুর থানার পুলিশ। আর তদন্তের শুরুতেই পুলিশের স্ক্যানারে আসে অন্যতম সন্দেহভাজন চুন্নু দাস। বিহারের (Bihar) গয়া থেকে তাকে পাকড়াও করা হয়। পুলিশ জানতে পারে, চুন্নু এবং তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী অলোকা সর্দার মিলে সদ্যোজাত নাতনিকে বিক্রির ছক কষেছিল। মাত্র ৩০ হাজার টাকায় শিশুটিকে বিক্রি করা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: কয়লা কাণ্ডে ‘অ্যাকশন মোডে’ CBI, কলকাতা-সহ ১৩ জায়গায় হানা গোয়েন্দাদের]
নীলম কুমারীর অভিযোগ অনুযায়ী, এই ঘটনায় মোট ৫ জনের নাম উঠে আসে। চুন্নু দাস, অলোকা সর্দার ছাড়াও চৈতালি চক্রবর্তী, শিখা মুখোপাধ্যায়, পূর্ণিমা মণ্ডলের নাম পাওয়া যায়। নরেন্দ্রপুরের পাঁচপোতা শিখণ্ড এলাকা থেকে চৈতালির কাছ থেকে উদ্ধার হয় ২৩ দিনের শিশুকন্যাকে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে চৈতালিকেও। এদের তিনজনকে হেফাজতে নিয়ে বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করছে পুলিশ। উল্লেখ্য, এর আগেও আনন্দপুর এলাকাতেই শিশুবিক্রি চক্রের হদিশ মিলেছিল। সেই চক্রের নেপথ্যে আরও অনেক বড় ষড়যন্ত্র চলে বলেও পুলিশের হাতে তথ্য আসে। এবার আরও একটি ঘটনা। তদন্ত আরও জোরদার করছে আনন্দপুর থানার পুলিশ।