ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলাকে ভাতে মারছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমন অভিযোগে ফের সরব তৃণমূল (TMC)। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩-২০২৪ অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজে বাংলার বরাদ্দ শূন্য। এই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল। বকেয়া পাওয়া আদায় ও বঞ্চনার প্রতিবাদে এবার আন্দোলনে নামবে তাঁরা। তৃণমূলের আত্মবিশ্বাসী যে বিজেপির এই বঞ্চনার রাজনীতির জবাব ভোটবাক্সে দেবে আমজনতা।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা অভিযোগ করেন, আবারও বাংলাকে বঞ্চিত করা হল। ভাতে মারার এই কেন্দ্রীয় সরকার রাজনৈতিকভাবে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে। তৃণমূলের তরফে রাজ্য বিজেপিকেও নিশানা করা হয়েছে। রাজ্য়ের মন্ত্রীর দাবি, এখান থেকে বিজেপি উসকানি দিচ্ছে। ২০২১-এর বদলা নিচ্ছে। রাজ্যের বরাদ্দ দিতে নিষেধ করছে। রাজ্য ও কেন্দ্রের বিজেপিকে কাপুরুষ বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। তৃণমূল জানিয়েছে,১০০ দিনের প্রকল্পে ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা বাকি। উপরন্তু এবার ১০০ দিনের কাজের বাজেটে ২৯ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ কমানো হয়েছে। অথচ কেন্দ্রের কাছে ১০০ দিনের কাজের জন্য বাংলা পুরস্কৃত হচ্ছে। শুধু ১০০ দিনের কাজ নয়, আবাস যোজনার টাকাও বকেয়া রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: কোটি-কোটির লেনদেন, নিয়োগ দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ডদের সঙ্গে যোগ কুন্তলের, বিস্ফোরক চার্জশিট ED’র]
রাজ্যের প্রতি এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে ধরনায় বসছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ২৯ ও ৩০ মার্চ আম্বেদকরের মূর্তির নিচে ধরনা দেবেন তিনি। সেই আন্দোলন ব্লকে ব্লকে পৌঁছে দেওয়ারও বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সাধারণ মানুষ এর জবাব ভোটবাক্সে দেবে বলেও আত্মপ্রত্যয়ী তৃণমূল। শুধু বঞ্চনা নয়, বঙ্গ বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা ও উসকানির অভিযোগ এনেছে তৃণমূল।
গ্রামে গ্রামে দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়ছেন দলীয় প্রতিনিধিরা। এর পিছনেও বঙ্গ বিজেপির উসকানি দেখছে তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে শশী পাঁজা বলেন, “বাংলার কাজ বন্ধ করে মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলে সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি।” সেই ষড়যন্ত্র রুখতে গ্রামে গ্রামে যাবেন তৃণমূল প্রতিনিধিরা। বুঝিয়ে দেবেন, কেন্দ্রের বঞ্চনার জন্য উন্নয়ন আটকে। কাজ করেও টাকা পাচ্ছে না আমজনতা।