দিশা ইসলাম, সল্টলেক: তৃণমূলের তারকা সাংসদ তথা টলিউড অভিনেত্রী নুসরত জাহানের পর এবার বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের (Locket Chatterjee) বিরুদ্ধে তদন্তের আবেদন নিয়ে ইডি দপ্তরে গেলেন বিধাননগরের তৃণমূল নেত্রী। শুক্রবার সকালে সল্টলেকের ইডি (ED)দপ্তরে পৌঁছে যান বিধাননগর পৌরনিগমের ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ তুলসি সিনহা রায়। তাঁর আবেদন, রোজভ্যালি চিটফান্ড থেকে প্রভূত আর্থিক সুবিধা ভোগ করেছেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেই ঘটনার যথাযথ তদন্ত হোক।
গত ৩১ জুলাই বিকেলে বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan)নামে ফ্ল্যাট দুর্নীতির অভিযোগে ইডির দ্বারস্থ হন। প্রতারিতদের সঙ্গে নিয়ে তিনি যান সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসে। এ নিয়ে যথেষ্ট শোরগোল পড়ে। প্রথমে মুখ না খুললেও পরে নুসরত প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক নয়। তিনি সংস্থা থেকে ঋণ নিলেও তা সুদ-সহ মিটিয়ে দিয়েছেন। ব্যাংক লেনদেনের বিস্তারিত তাঁর কাছে রয়েছে।
[আরও পড়ুন: খাগড়াগড় বিস্ফোরণের স্মৃতি উসকে প্রকাশ্যে ‘রক্তবীজ’-এর ঝাঁজালো মোশন পোস্টার, দেখুন]
এসবের কয়েকদিন পর, শুক্রবার ইডির দপ্তরে উপস্থিত হন বিধাননগর পৌরনিগমের (Bidhannagar Municipal Corporation) ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তুলসি সিনহা রায়। তিনি বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নামে তদন্তের আবেদন জানালেন ইডির কাছে। তুলসিদেবী জানান, ”আজকে আমরা আইনজীবী এবং সমাজকর্মীর তরফ থেকে একটা আবেদন নিয়ে এসেছি তদন্ত করার জন্য। বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় রোজভ্যালি (RoseValley) চিটফান্ড সংস্থার একজন বেনিফিশিয়ারি। সেই ব্যাপারে যাতে নিরপেক্ষ তদন্ত হয়, সেই ব্যাপারে ইডি দপ্তরে একটা আবেদন জমা দিয়ে গেলাম। আমাদের কাছে তথ্য আছে। কিন্তু আমরা চাই, আগে ইডি তদন্ত করুক এবং এই তদন্ত চলাকালীন যদি আমাদের কোনও সহযোগিতা প্রয়োজন হয় আমরা সহযোগিতায় থাকব।”
[আরও পড়ুন: ‘INDIA নয়, ওদের ডাকুন…’, বিরোধী জোটের নতুন নাম দিলেন মোদি]
তিনি আরও বলেন, ”বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় রোজভ্যালি মামলায় সুবিধাভোগী। যখন রোজভ্যালি কাণ্ডে ইডি এত তদন্ত করছে, সেক্ষেত্রে তদন্তের বাইরে কেন থাকবেন লকেট চট্টোপাধ্যায়? তিনি বিজেপি সাংসদ বলেই কি তদন্তের বাইরে? সেই আবেদনটাই আমরা করতে এসেছি যে, তাঁর ব্যাপারেও তদন্ত করা হোক। নিরপেক্ষ তদন্তের আশায় আমরা এখানে আবেদন জানিয়ে গেলাম।”