সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির বসন্তকুঞ্জের জয় হিন্দ কলোনিতে চূড়ান্ত হেনস্তার শিকার বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক। এই ঘটনায় স্তম্ভিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। X হ্যান্ডেলে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি।
মমতার দাবি, ওই এলাকায় বসবাসকারী একাধিক বাঙালির জল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। সমস্যায় জর্জরিত বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে জলের ট্যাঙ্কারের বন্দোবস্ত করেছিলেন। তবে পুলিশ এবং আরপিএফ বিকল্প পথে জলের বন্দোবস্ত করতে দেয়নি বলেও অভিযোগ। বিজেপি শাসিত দিল্লিতে ইচ্ছাকৃতভাবে বাঙালিদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে বলেই দাবি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর হুঁশিয়ারি, দিনের পর দিন এভাবে চলতে থাকলে মোটেও চুপ করে থাকবে না বাংলা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই জারি বলেই জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত কয়েকমাস ধরেই বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর বিভিন্ন রাজ্যে অত্যাচারিত হওয়ার অভিযোগ উঠছে। কখনও মারধর, কখনও তাঁদের উপর হামলা, লুটপাট, উপার্জন কেড়ে নেওয়া, কখনও আবার পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার মতো অভিযোগ শোনা গিয়েছে। এনিয়ে অভিযোগ জানালে স্থানীয় পুলিশের সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না বলেও তাঁরা অভিযোগ করেছেন। এসব খবর কানে পৌঁছতেই অবশ্য রাজ্যের তরফে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য গঠিত কমিটির তরফে দায়িত্বপ্রাপ্ত, রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম তড়িঘড়ি তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। রাজ্যে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছেন। বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে দেখছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে ইতিমধ্যে অমিত শাহকে চিঠি পাঠিয়ে কেন্দ্রের উপর চাপ তৈরি করেন দুই সাংসদ – ইউসুফ পাঠান ও সামিরুল ইসলাম। এই ইস্যুতে আগেও একাধিকবার হুঁশিয়ারির সুর চড়ান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। একের পর এক হেনস্তার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতি অবিলম্বে মুখ্যসচিবকে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট।
