ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ত্রিপুরায় (Tripura) আহত যুবনেতাদের দেখতে এসএসকেএমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার এগারোটা কুড়ি মিনিটে ঝাড়গ্রাম যাওয়ার আগে হাসপাতালে যান তিনি। কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। খোঁজ নেন জয়া ও সুদীপের শারীরিক পরিস্থিতির। হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে ত্রিপুরা সরকার ও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
শনিবার ৮টি জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল যুবনেতাকে আক্রমণের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ত্রিপুরা (Tripura)। দিনভর চলে টানাপোড়েন। আহত হন ৩ যুবনেতা। গ্রেপ্তারও করা হয় তাঁদের। রবিবার গভীর রাতে তাঁদের নিয়ে শহরে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। রবিবার রাতেই এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে সুদীপ রাহা ও জয়া দত্তকে। দেবাংশুকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৩ নম্বর কেবিনে ভরতি রয়েছেন সুদীপ। ইতিমধ্যেই তাঁর এমআরআই ও সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। জয়া দত্ত ভরতি রয়েছেন উডবার্ন ওয়ার্ডের ২০৩ নম্বর ওয়ার্ডে। সোমবার সকালে আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতালে গিয়েছিলেন অরূপ বিশ্বাসও।
[আরও পড়ুন:ত্রিপুরা থেকে কলকাতায় ফিরে গভীর রাতে SSKM-এ ভরতি আহত TMC যুবনেতা সুদীপ-জয়া]
আহত দুই যুবনেতাকে দেখার পরে ত্রিপুরা সরকার ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “আমাদের ছাত্র নেতাদের পুলিশের সামনে দাঁড় করিয়ে মেরেছে। সুদীপের মাথা ফেটে গিয়েছে। জয়ার কান ফেটেছে। এরপরও ৩৬ ঘণ্টা ওদের কোনও চিকিৎসা করা হয়নি। এমনকী অসুস্থদের জল পর্যন্ত দেয়নি। আমাদের যে নেতারা থানায় গিয়েছিলেন তাঁদেরও জল দেওয়া হয়নি। এতটাই নির্দয় বিজেপি। এর আগে অভিষেককে হেনস্তা করা হয়েছে। ওর গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। ওর গাড়ি সাধারণ হলে ওর মাথাও চুরমার হয়ে যেত।” এরপরই সরাসরি অমিত শাহকে আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, “আমি নিশ্চিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই সব হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর এত সাহস নেই। যারা অত্যাচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়াই হয়নি।” তবে এসব করে তৃণমূলকে রোখা যাবে না বলেই হুঁশিয়ারি দেন মমতা।