সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে তিনটি বছর কাটিয়ে ফেললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই দিনটি উদযাপনের কথা আগেই জানা গিয়েছিল রাজভবন সূত্রে। সকাল থেকে দিনভর রাজভবনে একাধিক অনুষ্ঠান। তবে বঙ্গবাসের ৩ বছর পূর্তিতে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন রাজ্যপাল। রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে সাময়িক তিক্ততা কাটিয়ে সামগ্রিকভাবে বাংলা নিয়ে মধুর স্মৃতির কথা বললেন তিনি। জানালেন, বাংলায় কাজ করার অভিজ্ঞতা দারুণ। গ্রামবাংলাকে আরও দেখতে চান, আরও সময় কাটাতে চান।
রবিবার সকাল থেকেই রাজভবন জমজমাট। ভোরে রাজভবনের মাঠে নবীন প্রজন্মের সঙ্গে যোগচর্চায় শামিল হন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নিজেও। কিছুক্ষণ সেখানে শরীরচর্চা চলে। তারপর প্রেস কর্নারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যপালের কণ্ঠ আবেগে থরথর! বললেন, ''আজ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে আমি চতুর্থ বছরে পা রাখলাম। এটা খুব সন্তোষজনক জায়গা। বাংলার মানুষকে আমি ভালোবেসেছি, তাঁদের কাছ থেকে ভালোবাসা পেয়েওছি। রাজভবনের দ্বার সকলের জন্য অবারিত। সমাজের ছোট, বড় সকলের জন্য কাজ করতে আমি অঙ্গীকারবদ্ধ। এই দিনটি আবার নিজের কাজের প্রতিশ্রুতি নিচ্ছি। যেটুকু সময় এখানে থাকব, গ্রামবাংলায় সময় কাটাতে চাই, চিনতে চাই।''
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বেশ খানিকটা সময় ধরে রাজভবনের সঙ্গে রাজ্য সরকারের মতানৈক্য তৈরি হয়েছে একাধিক ইস্যুতে। কখনও বিলে সময়মতো সই না করা, কখনও আবার রাজ্যে রাজনৈতিক অশান্তির দায় শাসকদলের উপর চাপিয়ে দেওয়া - নানা বিষয়ে রাজ্যপালের 'অতিসক্রিয়তা', 'বিতর্কিত' পদক্ষেপ বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিন নিজের বক্তব্যে সেই বিষয় এড়ালেন না সিভি আনন্দ বোস। তাঁর কথায়, ''রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমার সম্পর্কে অনেক ওঠাপড়া ছিল, কিন্তু সেগুলো কাজেরই অংশ বলে মনে করি।'' এদিন রাজভবনে গণবিবাহের আয়োজন করা হয়েছে। রাজ্যপাল নিজে ১০০ যুগলের বিয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন। অর্থাৎ সাংবিধানিক প্রধানের বাইরে বেরিয়ে আনন্দ বোস বারবার রাজ্যবাসীকে বার্তা দিতে চাইছেন, 'আমি তোমাদেরই লোক।'
