গৌতম ব্রহ্ম: হঠাৎ বিপত্তি। অমরনাথ গুহার (Amarnath Cloud Burst) কাছে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে লন্ডভন্ড তীর্থযাত্রা। খোঁজ নেই বহু তীর্থযাত্রীর চরম প্রাকৃতিক প্রতিকূলতায় আটকে রয়েছেন অনেকে। তাঁদের মধ্যে বাঙালি পর্যটকদের থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাঁদের সাহায্যার্থে নবান্নে কন্ট্রোল রুম (Control Room) চালু করল রাজ্য সরকার। বাংলার আটকে পড়া তীর্থযাত্রীদের উদ্ধারের জন্য জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir Administration) প্রশাসনেক সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে হচ্ছে নবান্ন। শনিবার টুইট করে এমনই তথ্য দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
এদিন টুইট বার্তায় শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। লেখেন, “অমরনাথের প্রাকৃতিক দুর্যোগে শোকাহত এবং বিস্মিত। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল।” একইসঙ্গে তিনি জানান, রাজ্যের তীর্থযাত্রীদের ফিরিয়ে আনার জন্য সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। চালু হয়েছে কন্ট্রোল রুম (033- 22143526)। জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে রাজ্য সরকার। দুর্গতদের পরিবারকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, বাংলার ২১ পর্যটক আটকে রয়েছে অমরনাথে। তাদের মধ্য়ে ১৫ জন হাওড়ার বাসিন্দা। তবে তাঁদের কারোর হদিশ মেলেনি বলেই খবর।
[আরও পড়ুন: খুন করতেই এসেছিল, প্রথম টার্গেট ছিল এক ধর্মগুরু, জানাল শিনজো আবের হত্যাকারী]
কালীমাতা ও অমরনাথ (Amarnath Yatra) গুহার মাঝখানে দুর্ঘটনাটি ঘটে। যেখানে ভিড় জমিয়েছিলেন কাতারে কাতারে পুণ্যার্থী। শুক্রবার আচমকা মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে ভেসে গিয়েছে পুণ্যার্থীদের অন্তত ২৫টি ক্যাম্প। মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। উদ্ধারকাজ শুরু করে এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ-এর দল। শনিবার সকালে শ্রীনগর থেকে উদ্ধারকাজের জন্য উড়ে যাওয়ার কথা ছিল ভারতীয় বায়ুসেনার Mi-17 হেলিকপ্টারের। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে তা সময়ে রওনা দিতে পারেনি।
তবে নীলগ্রর, বালটাল এলাকায় যেখানে পুণ্যার্থীরা আটকে পড়েছেন, সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন জওয়ানরা। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। জানা গিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। বর্তমানে এনডিআরএফ-এর তিনটি দলও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।