ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: করোনা ভাইরাসের (Corona virus) দোসর হয়ে এসেছিল ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পরই রোগীর দেহে থাবা বসাচ্ছিল কালো ছত্রাক। আর সম্প্রতি আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে তুলেছে জিকা ভাইরাস (Zika Virus)। ইতিমধ্যেই কেরলে ১৩ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। সম্পূর্ণ সুস্থ শরীরের উপরও হামলা চালাচ্ছেন জিকা ভাইরাস। চোখের সমস্যা, মাথাব্যথা, সামান্য জ্বর – এ ধরনের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। বর্ষার মরশুমে এ ধরনের রোগের প্রকোপ বাড়তে থাকায় এবার জনস্বার্থে সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। প্রতিটি জেলাকে এই নয়া নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের (CMOH)।
বর্ষার মরশুমে ছোটদের ও বয়স্কদের বিশেষ সাবধানতার কথা বলেছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। চোখে সংক্রমণ, জ্বর, গা-হাত-পা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখলে কোনও আতঙ্ক বা অবহেলা নয়, চক্ষু রোগ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার কথা নির্দেশিকায় জানিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। সম্প্রতি কলকাতাতেও এ ধরনের রোগের প্রকোপ বেড়েছে বলে দপ্তরে খবর এসেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি মশাবাহিত রোগ। তেমন আতঙ্কের কিছু নেই। এক সপ্তাহের মধ্যে রোগী সুস্থ হয়ে যায়। তবে সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মহামারীর মাঝে এই মশাবাহিত রোগ নিয়ে যাতে রাজ্যবাসী অযথা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, তার জন্যই এই নির্দেশিকা।
[আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক সৌমিত্র-রাজীব, দুই ‘বেসুরো’ নেতাকে নিয়ে অস্বস্তিতে BJP]
জিকা ভাইরাস সাধারণত একজনের থেকে অপরজনের দেহে সংক্রমণ ছড়ায় রক্ত কিংবা ইঞ্জেকশন সিরিঞ্জের মাধ্যমে। ফলে কারও শরীরে জিকা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিললে, তাঁর থেকে সতর্ক থাকতে হবে। দ্রুতই তাঁর চিকিৎসা প্রয়োজন। জিকার উৎস খুঁজতে গিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মূলত এডিস মশা (Mosquito) থেকে ছড়ায় এটি। অর্থাৎ চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গির পাশপাশি এই রোগের সংক্রমণও ঘটতে পারে এই মশার কামড় থেকে। বর্ষায় মশাদের বাড়বাড়ন্তের জেরে এসব রোগ ছড়িয়ে পড়ে। তাই তা রুখতে আগেভাগেই সতর্ক স্বাস্থ্যদপ্তর। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী প্রতিটি জেলায় এই নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন। CMOHরা যাতে বিষয়টি কড়া নজরে রাখেন, তার নির্দেশ দিয়েছেন।