নিরুফা খাতুন: প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে আত্মহত্যা করলেন বান্ধবী। ভয়ে বান্ধবীর দেহ রাস্তায় ফেলে দিয়ে গেলেন প্রেমিক! দোলের দিন সাতসকালে হরিদেবপুরের জীবনমোহিনী ঘোষ পার্কে এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার মৃত্যুতে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল।
এদিন সকালে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হরিদেবপুর পুলিশ। জানা যায়, এলাকার রাস্তার পাশে মহিলার দেহ পড়েছিল। স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেন। প্রথমে পুলিশকে জানানো হয়েছিল ৩৫ বছর বয়সি এক মহিলা জ্ঞানহীন অবস্থায় রাস্তায় পড়ে রয়েছেন। দেহ উদ্ধার করে এমআর বাঙুর হাসপাতালে পাঠানো হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মহিলার মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। তাঁর পরিচয় জানার পর মৃত্যু নিয়ে জট কাটতে থাকে।
[আরও পড়ুন: হোলির বিজ্ঞাপনে হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত, নেটদুনিয়ার রোষানলে Swiggy! উঠল বয়কটের ডাক]
পুলিশ সূত্রে খবর, হরিদেবপুরে উদ্ধার হওয়া মৃত মহিলা নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা। নাম ডালিয়া চক্রবর্তী। পুলিশের প্রথমে সন্দেহ হয়েছিল বাইরে কোথাও মহিলাকে খুন করে হরিদেবপুরে ফেলে দিয়ে গিয়েছে খুনি। তাঁর গলায় ক্ষতের দাগ ছিল। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্টে মহিলা আত্মঘাতী হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হন ডালিয়া। পাওনা টাকা আনতে যাচ্ছেন বলে বাড়িতে বলে যান। তবে কোথায়, কার কাছে পাওনা টাকা নিতে যাচ্ছেন তা বলেননি। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা তাঁর প্রেমিকের বাড়িতে ছিলেন। সেখানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। প্রেমিকা আত্মঘাতী হওয়ায় ভয়ে দেহটি রাস্তায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান প্রেমিক।
প্রেমিকের সন্ধানে পুলিশ হরিদেবপুর এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। এছাড়া মৃতের ফোনের কললিস্টও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কার সঙ্গে তাঁর শেষ ফোনে কথা হয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি মৃতার স্বামী রাহুল ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। সম্পর্কের টানাপোড়েনেই কি ডালিয়া আত্মঘাতী হয়েছেন, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।