শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: কোরক হোমে বিচারাধীন কিশোরের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিভ্রাট। কিশোর হয়ে গেলেন ৩৪ বছরের ব্যক্তি। জলপাইগুড়ির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশি তদন্তে অনাস্থা। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এবং রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। সিবিআইকে আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ।
গত ১৫ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ির জুভেনাইল কোরক হোমে এক কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় লাবু ইসলাম নামে এক কিশোরের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে একাধিক অসংগতি ধরা পড়ে। ময়নাতদন্তে রিপোর্টে দেখা যায় মৃত কিশোরের বয়স ৩৪। তাতেই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি।
[আরও পড়ুন: ক্রিকেট থেকে দূরে ‘কৃষক’ অবতারে ধোনি, নিজের হাতে চালালেন ট্রাক্টর, ভাইরাল ভিডিও]
আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় তদন্তকারী আধিকারিককে। পুলিশি তদন্তে আস্থা হারান লাবু ইসলামের পরিবারের লোকজন। সিবিআই তদন্তের আবেদন জানান তাঁরা। মৃত লাবু ইসলামের পরিবারের আরজিতে সায় দেয় আদালত। কিশোরের রহস্যমৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তদন্ত শুরু করতে হবে সিবিআইকে। দ্বিতীয়বার হতে পারে ময়নাতদন্ত। প্রয়োজনে কবর থেকে তোলা হতে পারে দেহ। আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে হবে সিবিআইকে।