সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছাত্র সংঘাতে কার্যত কুরুক্ষেত্র হয়ে উঠেছে কিরঘিজস্তান! নিশানায় মূলত ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পড়ুয়ারা। বিদেশি ছাত্রদের হস্টেলে হামলা করছেন স্থানীয়রা। এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে পড়ে আহত হন বেশ কয়েকজন। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। সেদেশে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের সতর্ক করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
জানা গিয়েছে, এই গোলমালের সূত্রপাত হয় গত ১৩ মে। কিরঘিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে কিরঘিজ পড়ুয়াদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে মিশরের ডাক্তারি ছাত্ররা। যার ভিডিও গতকাল, শুক্রবার ভাইরাল হয়। সেই দেখেই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন বিশকেকের বাসিন্দারা। ওই শহরে অবস্থিত হস্টেলে হামলা চালান তাঁরা। যেখানে মূলত বিদেশি পড়ুয়ারা থাকেন। ক্ষুব্ধ জনতা 'টার্গেট' করছেন ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ছাত্রদের।
[আরও পড়ুন: প্রবল আক্রমণ রাশিয়ার, খারকভে ‘মার খেয়ে’ পিছু হঠছে ইউক্রেনীয় ফৌজ]
এই বিষয়ে কিরঘিজস্তানের পাক দূতাবাস জানায়, দলবেঁধে উত্তেজিত জনতা বিদেশি পড়ুয়াদের উপর আক্রমণ করছে । স্থানীয়দের রোষ থেকে রেহাই পাচ্ছে না ছাত্রীরাও। মেয়েদেরকেও হেনস্তা করা হচ্ছে। এই হামলায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। এই পরিস্থিতিতে শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে জয়শংকর লেখেন, 'বিশকেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। এই মুহূর্তে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক বলে খবর পেয়েছি। পড়ুয়াদের ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’ভারতীয় পড়ুয়াদের সাহায্যের জন্য ২৪ ঘণ্টার জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করে কিরঘিজস্তানের ভারতীয় দূতাবাস। বিবৃতি দিয়ে হস্টেলের ভিতরে থাকার পাশাপাশি ছাত্রদের নিয়মিত যোগাযোগে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে দূতাবাসের তরফে।
বলে রাখা ভালো, কম টিউশন ফির কারণে কিরঘিজস্তান মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের পছন্দের গন্তব্য। এই মুহূর্তে সেদেশে ১৪ হাজার ৫০০ ভারতীয় পড়ুয়া রয়েছেন। পাকিস্তানি ছাত্রের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। তবে কিরঘিজস্তান সরকার জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে। পুলিশ যেকোনও সংঘর্ষ এড়াতে সকলের সঙ্গে আলোচনা জারি রেখেছে।