সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির স্টার প্রচারকদের তালিকায় নাম নেই লালকৃষ্ণ আডবানীর। নেই মুরলী মনোহর যোশীর নামও। দলের তারকা বক্তাদের তালিকা থেকে এই দুই বর্ষীয়ান শীর্ষ নেতাকে ছেঁটে ফেলল বিজেপি। যা নিয়ে প্রবল চাপানউতোর তৈরি হয়েছে বিজেপির অন্দরেই।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপিতেই সম্ভব’, মাত্র ২৮ বছর বয়সে পদ্মশিবিরের প্রার্থী হয়ে অবাক সূর্য]
অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ মুখ ছিলেন আডবানী। ছিলেন উপ প্রধানমন্ত্রীও। বিজেপির সবচেয়ে আলোচিত এবং অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রথযাত্রা কর্মসূচির সূচনা করেছিলেন এই লালকৃষ্ণ আডবানী। ছিলেন দলের রাম মন্দির আন্দোলনের পথিকৃৎ। হিন্দি বলয়ে একসময়ের প্রধান রাজনৈতিক অস্ত্র সেই আডবানীকেই আর তারকা বক্তা হিসাবে চায় না বিজেপি। অন্যদিকে, রয়েছেন মুরলী মনোহর যোশী। একসময় দলের রাজনৈতিক প্রচারের অন্যতম মুখ ছিলেন প্রাক্তন মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী পদ্মবিভূষণ প্রাপ্ত মুরলী মনোহর যোশী। বিজেপি যে হিন্দুত্ব ইস্যুকে সামনে রেখে ভোটের রাজনীতিতে উঠে এসেছে, একসময় তার রক্ষক হিসাবে দলের এই দুই তারকাকে সামনে রাখা হত।
উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে এই দুই নেতাই ছিলেন দলের প্রধান ভরসা। যাঁদের সামনে রেখে হিন্দি বলয় দখলে রেখেছিল বিজেপি। পদ্মশিবিরকে একেবারে শূন্য থেকে প্রতিষ্ঠা দিয়েছিলেন এই দুই তারকা। তবে ২০১৪এ মোদি সরকার কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসার পর মার্গদর্শকমণ্ডলীর নামে এঁদের কার্যত বাণপ্রস্থে পাঠিয়ে দিয়েছিল৷ এবার এই দুই প্রবীণ নেতাকেই তারকা প্রচারকদের তালিকা থেকে বাদ দিল বিজেপি। বদলে দলের প্রচার সভায় থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও নীতিন গড়করি।
[আরও পড়ুন: আত্মসম্মানে আঘাত লেগেছে, কানহাইয়ার বিরুদ্ধে লড়া নিয়ে উলটো সুর গিরিরাজের]
আদবানী ছিলেন গান্ধীনগরের সাংসদ। কানপুর থেকে লড়াই করতেন যোশী। দু’জনকেই এবার প্রার্থী করেনি দল। গান্ধীনগরে প্রার্থী করা হল অমিত শাহকে। বারাণসী থেকে ২০১৪ সালেও ফের ভোটে লড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন মুরলী। তা মানেননি মোদি। এরপর উত্তরপ্রদেশের হিন্দি বলয় থেকে এই দুই তারকাকে প্রচারতালিকা থেকে বাদ দিল দল।এদিকে, আডবানী, মুরলি মনোহর যোশীর মতো প্রবীণ নেতৃত্বকে এভাবে রাজনৈতিক লড়াই থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে বিজেপিকে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মঙ্গলবার সন্ধেয় নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘বিজেপি প্রবীণদের সম্মান করতে জানে না৷ যাঁরা প্রথম থেকে দলের সঙ্গে রয়েছেন, কাজ করছেন, তাঁদের পাশেও নেই৷ এটা মোটেই ভাল নয়৷’
অন্যদিকে, বিজেপির পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের জন্য স্টার প্রচারকদের তালিকা ঘোষণা করেছে কংগ্রেসও। রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীদের পাশাপাশি, তালিকায় নাম রয়েছে মনমোহন সিং, গুলাম নবি আজাদদের মতো বর্ষীয়ান নেতাদেরও।
The post প্রার্থীতালিকার পর এবার তারকা প্রচারকমণ্ডলী থেকেও বাদ আডবানী,যোশী appeared first on Sangbad Pratidin.