সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির নিজামুদ্দিনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল উত্তরপ্রদেশে। করোনা বিধি উড়িয়ে মুসলিম ধর্মগুরুর মৃত্যুতে উপচে পড়ল হাজার হাজার মানুষের ভিড়। এই মর্মে একটি মামলা দায়ের করেছে প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে জরুরি জোড়া মাস্ক, কীভাবে পরবেন? জানাল কেন্দ্র]
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বদায়ুতে। গত রবিবার মৃত্যু হয় আবদুল হামিদ মহম্মদ সলিমুল কাদরি নামের এক মুসলিম ধর্মগুরুর। তারপর ভক্তদের জন্য স্থানীয় একটি মসজিদে রাখা হয়েছিল ওই ধর্মগুরু দেহ। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই কয়েক ঘন্টার মধ্যে বদায়ুতে হাজির হয় কয়েক হাজার মানুষ। করোনা বিধি শিকেয় তুলে এই বিশাল জমায়েতের ঘটনায় সোমবার মামলা দায়ের করেছে প্রশাসন। বলে রাখা ভাল, করোনা সংক্রমণ রুখতে শেষকৃত্যে সর্বোচ্চ ২০ জন মানুষ উপস্থিত থাকার অনুমতি দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন। এছাড়া, মাস্ক না পরে প্রথমবার ধরা পড়লে ১ হাজার টাকা ও দ্বিতীয়বার ১০ হাজার টাকা জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে। তবে এসব কোনও আইন কানুনই সলিমুল কাদরির শেষকৃত্যে ভিড় আটকাতে পারেনি।মানা হয়নি করোনা বিধিও। ফলে মরকজের মতো এই জমায়েত থেকে ‘সুপার স্প্রেডার’দের ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে গত বছরের মার্চ মাসে দিল্লির নিজামুদ্দিন মরকজে বহু তবলিঘি জামাত সদ্য জমায়েত করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে বহু বিদেশি নাগরিকও ছিলেন। অভিযোগ, লকডাউন ঘোষণার পরও সেই এলাকায় জমায়েত করেছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে করোনাও ছড়িয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এপ্রিল মাসে তবলিঘি জামাতের ৯৬০ সদস্যকে কালো তালিকাভাক্ত করেছিল। একইসঙ্গে তাঁদের ভিসাও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে দিল্লি পুলিশ এবং অন্য রাজ্যের পুলিশের কাছে নিজ নিজ এলাকায় থাকা বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে দুর্যোগ আইন এবং বিদেশি নাগরিক আইনের অনুযায়ী কড়া পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছিল। তারপরই প্রায় ২ হাজার ২০০ জন বিদেশি সদস্যের ভারত ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিদেশমন্ত্রক।