সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় বন্ধ গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল। ইজরায়েলি সেনার লাগাতার আক্রমণে হাসপাতালের চিকিৎসাব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। ইতিমধ্যেই আল শিফা হাসপাতালে তিন সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে। সেই সংখ্যাটা দ্রুত বাড়বে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের প্রধান টেড্রস গেব্রেয়াসাস। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আর্জিও জানিয়েছেন হু (WHO) প্রধান। প্রসঙ্গত ইজরায়েলের অভিযোগ, গাজার একাধিক হাসপাতালে নিজের ঘাঁটি গেড়েছে হামাস।
গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালায় জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। তার পর থেকেই জঙ্গিদের নিঃশেষ করার ডাক দিয়ে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। গাজার হাসপাতালগুলোতে অসুস্থ মানুষকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে হামাস জঙ্গিরা ঘাঁটি গেড়েছে, এমনটাই ধারণা ইজরায়েলের। আগেই গাজার বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ করা হয়েছিল। এখন জ্বালানির অভাবে কার্যত আঁধারে ডুবছে হাসপাতাল-সহ অন্যান্য এলাকা।
[আরও পড়ুন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে দীপাবলি, সুনাককে বিরাটের সই করা ব্যাট উপহার জয়শংকরের]
হু প্রধান টেড্রস গেব্রেয়াসাস জানিয়েছেন, আল শিফা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তাঁরা। সেখানকার পরিস্থিতি মারাত্মক ও বিপজ্জনক বলে মনে করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ক্রমাগত বোমা বিস্ফোরণ ও গুলির লড়াইয়ের ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। টুইট করে গেব্রেয়াসাস বলেন, “অসুস্থদের অনেকেই মারা গিয়েছেন। এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে। হাসপাতালের পরিষেবা একেবারে বন্ধ হওয়ার পথে।” অবিলম্বে সংঘর্ষবিরতির ডাক দিয়েছেন হু প্রধান।
যদিও তেল আভিভের সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, রবিবারই ওই শিশুদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবেন তাঁরা। উল্লেখ্য, গোটা গাজা (Gaza) ভূখণ্ডেই বিদ্যুৎ সংযোগ আগেই ছিন্ন করে দিয়েছিল ইজরায়েল (Israel)। এই পরিস্থিতিতে ভরসা ছিল জেনারেটরের উপরই। কিন্তু জ্বালানি সংকটে এবার সেগুলোও জবাব দিচ্ছে। হাসপাতালের ইনকিউবেটরে থাকা অসহায় শিশুদের সামনে তাই কার্যতই মৃত্যুর হাতছানি।