রূপায়ন গঙ্গোপাধ্যায়: বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজোয় এবার সামিল হচ্ছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। বুধবার বাংলায় টুইট করে দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানান তিনি। লেখেন, “দুর্গাপূজা, অশুভের পরাজয় ও শুভে’র বিজয়ের এক পবিত্র উৎসব। মা দুর্গার কাছে শক্তি, আনন্দ ও সুস্বাস্থ্যের আশীর্বাদ প্রার্থনা করি।” মহাষষ্ঠীতে সল্টলেকে ইজেডসিসির পুজো ভারচুয়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সঙ্গে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। তবে তাঁদের বাকি চারদিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করে হয়েছে।
করোনা আবহে হাই কোর্টের সমস্ত নির্দেশ মেনেই সল্টলেকের ইজেডসিসিতে বিজেপির উদ্যোগে দুর্গা পুজো হতে চলেছে। মণ্ডপ প্রাঙ্গনে জনা পনের নেতা-কর্মী থাকবেন। বাকিরা ভারচুয়ালি পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখবেন। এদিন পুজো উদ্বোধনে পর রাজ্যবাসীকে শারদ শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা দেবেন তিনি। বিজেপি সূত্রে খবর, ধুতি-পাঞ্জাবি পড়ে একেবারে বাঙালি বেশেই তিনি দুর্গাপূজোর ভারচুয়াল উদ্বোধন করবেন। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শারদ উৎসবের সূচনায় প্রধানমন্ত্রী কী বার্তা দেন সেদিকেও নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।
[আরও পড়ুন : আরজি করের সদ্যোজাত নিখোঁজ মামলা, ডিআইজি সিআইডির নেতৃত্বে তদন্তের নির্দেশ হাই কোর্টের]
পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথমে হবে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নৃত্য। তারপর বাবুল সুপ্রিয়র গান। এরপর পুজোর ভারচুয়াল উদ্বোধন করে ভাষণ প্রধানমন্ত্রীর। এটা সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মূলত ভারচুয়ালি হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তবে পরের চারদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। বুধবার ইজেডসিসিতে পুজোর প্রস্তুতি দেখেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও সহসভাপতি মুকুল রায়। মুকুল রায় বলেন, “হাই কোর্টের রায়কে মাথায় রেখেই সব কর্মসূচি পালন করতে হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাইরের মঞ্চে হলেও বাকি চারদিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে হলের মধ্যে। পুজো মণ্ডপে তো বটেই আজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও সামাজিক দূরত্ব ও আদালতের নির্দেশ মেনেই সব কিছু হচ্ছে। মণ্ডপের ব্যারিকেডের ভিতরে থাকবেন ১৫ জন।”