সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সলমন খানকে (Salman Khan) খুনের হুমকি দিয়ে চিঠি তিনি পাঠাননি। দিল্লি পুলিশের জেরার মুখে এমনই দাবি করলেন গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। গত রবিবার মুম্বইয়ে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এক জায়গায় বিশ্রাম নেওয়ার সময় হুমকি চিঠি হাতে পান সলমনের বাবা সেলিম খান (Salim Khan)। চিঠিতে কারও নামোল্লেখ না করেও সলমন খান এবং তাঁর বাবাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। সেই চিঠির জেরেই লরেন্সকে জেরা করা হয়।
বর্তমানে জেলে রয়েছেন লরেন্স। সেখানেই তাঁকে জেরা করে দিল্লি পুলিশ। পুলিশের জেরার মুখে গ্যাংস্টার জানিয়েছে, সলমন খানকে খুনের হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠানোর ঘটনায় তাঁর কোনও যোগসূত্র নেই। বেনামি চিঠি কে এভাবে পাঠাতে পারে, সেই সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারণাও নেই।
[আরও পড়ুন: বর-কনের বেশে রাহুল ও রুকমা, চুপিসারে বিয়েটা সেরে ফেললেন?]
পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে আচমকাই খুন করেছিলেন দৃষ্কৃতীরা। তা নিয়ে জোর চর্চা হয়েছিল। সেই মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখ করেই সলমন খানকে হুমকি চিঠি দেওয়া হয়। সিধু মুসেওয়ালার মতো পরিণতি হবে ভাইজানের। এমন কথা লেখা হয় হুমকি চিঠিতে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর সলমন খানের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। মুম্বইয়ের বান্দ্রা থানায় দায়ের করা হয় এফআইআর।
ইতিমধ্যেই, এ বিষয়ে সলমনের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। সেখানে বলিউডের সুলতান নাকি জানিয়েছেন, তাঁর এমন কোনও শত্রু নেই যে খুনের হুমকি দিতে পারে। অবশ্য ২০১৮ সালে লরেন্স বিষ্ণোই সলমনকে খুনের হুমকি দিয়েছিল। সেই সময় ‘রেস ৩’ ছবির শুটিং চলছিল। লরেন্সের এহেন হুমকির পরই তা সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়। আসলে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যাকাণ্ডে সলমনের নাম জড়ানোতেই লরেন্সের ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। যোধপুরের যে সম্প্রদায় কৃষ্ণসার হরিণকে পুজো করে, সেই সম্প্রদায়েরই প্রতিনিধি ছিল লরেন্স। হরিণ হত্যা মামলার রেশ ধরেই সলমনকে হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। তাই গত রবিবার যখন সলমন খুনের হুমকি দেওয়া চিঠি পান, তদন্তকারী অফিসাররা লরেন্সকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এদিকে কড়া নিরাপত্তায় হায়দরাবাদে ‘কভি ইদ কভি দিওয়ালি’র শুটিং করতে গিয়েছেন সলমন।