সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চণ্ডীগড়ে র্যাপার বাদশার নাইটক্লাবে বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করল লরেন্স বিষ্ণোই গ্য়াং। শুধু তাই নয়, তাঁরা জানিয়েছে আসলে তাঁদের টার্গেটে ছিলেন বাদশা। গায়ককে ভয় পাওয়াতে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিতেই এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
খবর অনুযায়ী, লরেন্স বিষ্ণোই, যিনি গুজরাটের একটি জেলে বন্দি রয়েছেন। তার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, সোশাল মিডিয়ায় বিষ্ণোই ঘনিষ্ঠ গোল্ডি ব্রার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তার দলের সদস্যরা নাইটক্লাবের মালিকদেরকে প্রোটেকশন মানি দেওয়ার জন্য ডেকেছিলেন। কিন্তু মালিকরা তা উপেক্ষা করায় বিস্ফোরণ।
বাদশার আসল নাম আদিত্য প্রতীক সিং সিসোদিয়া। দিল্লিতে জন্ম। তবে তাঁর পাঞ্জাবের বাসিন্দা ছিলেন। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পড়তেই র্যাপের প্রতি বাদশার আকর্ষণ। শুরু করেন গান লেখা। তার পর মিউজিক অ্যালবামের মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয়তা পান। বলিউডে বাদশার সফর শুরু ‘হাম্পটি শর্মা কি দুলহনিয়া’ সিনেমার ‘স্যাটার্ডে স্যাটার্ডে’ গান থেকে। এর পর আর পিছনে ফিরে তাকাননি শিল্পী। একাধিক সুপারহিট গান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। বর্তমানে শ্রেয়া ঘোষাল ও বিশাল দদলানির সঙ্গে ‘ইন্ডিয়ান আইডল’ শোয়ের বিচারকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।
গানের পাশাপাশি খাবারের ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত বাদশা। জানা গিয়েছে, চণ্ডীগড়ে তাঁর এই ‘ডি’ওরা’ নামের রেস্তরাঁ তথা পানশালা বেশ পরিচিত। সাত-আটজন কর্মী সেখানে কাজ করেন। কিন্তু ভোররাতে যখন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, তখন কেউ রেস্তরাঁয় ছিলেন না। ফলে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিস্ফোরণের তীব্রতায় রেস্তরাঁ-পানশালার জানলার কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের পক্ষ থেকে সেই ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে।
খবর পেয়েই ঘটনা স্থলে যান তদন্তকারী অফিসাররা। প্রত্যক্ষদর্শীরাই বাইক আরোহীদের কথা জানান বলে খবর। এর পরই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়। থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে বাদশার পক্ষ থেকে কোনও অফিশিয়াল বিবৃতি দেওয়া হয়নি।