কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: নিউটাউনের আইনজীবী রজত দে খুনের দু’দিন আগে থেকেই অপরাধবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন স্ত্রী অনিন্দিতা। শ্বাসরোধ করে কীভাবে খুন করা যায়, তেমন ধরনের বেশ কিছু বই পড়েছিলেন তিনি। রীতিমতো গবেষণা করেছিলেন তিনি। ইন্টারনেটেরও সাহায্য নিয়েছিলেন। এমনিতে অনিন্দিতাও আইনের ছাত্রী হওয়ায় বিষয়টিতে দখল নিতে বেশি সময় লাগেনি। গোয়েন্দা কাহিনির উপর তাঁর ঝোঁক বেড়ে গিয়েছিল আচমকাই। পুলিশের একটি সূত্র এমনটাই জানিয়েছে। রজত দে খুনের পুনর্নির্মাণ করতে গিয়েই অনিন্দিতা পাল দে-র এমন বয়ান এসেছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান অনেকটাই স্পষ্ট হয়েছে।
[শহরে জাল নোট পাচারচক্রের পর্দাফাঁস, এসটিএফের হাতে পাকড়াও ৩]
পুলিশ মনে করছে, তর্কাতর্কি ও কথা কাটাকাটির পর পিছন থেকে রজতের গলায় ব্যাটারির চার্জার পেঁচিয়ে ধরে অনিন্দিতা। আচমকা এমনভাবে পেঁচিয়ে ধরায় পড়ে যান রজত। মাথায় ও দুই হাতের কনুইয়ে চোট পান। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও মৃত রজতকুমার দে-র গলায় সরু ফাঁসের চিহ্নের উল্লেখ ছিল। দৃঢ় অনুমান, মোবাইল চার্জ দেওয়া কর্ড (তার) গলায় পেঁচিয়ে খুন করা হয়েছে। দেড় বছরের একটি ফুটফুটে শিশু রয়েছে তাঁদের। আর্থিকভাবে সচ্ছল একটি পরিবার। দু’জনেই উচ্চশিক্ষিত। সেখানে খুনের মতো ভয়াবহ একটি ঘটনা কী করে ঘটল? তাহলে কি দাম্পত্য কলহ সম্প্রতি মাত্রাছাড়া হয়ে উঠেছিল? নাকি টাকা-পয়সা নিয়ে অশান্তি ছিল, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে জানা যাচ্ছে না। তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতি নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে।
[ভুয়ো ডিগ্রি নিয়ে সিএমআরআইতে ডাক্তারি, ১০ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ]
উল্লেখ্য, ২৬ নভেম্বর নিউটাউনের ডিবি ব্লকের নবায়ন কো-অপারেটিভের একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় আইনজীবীর দেহ। নিউটাউন থানায় প্রথমে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়। ২৯ তারিখ মৃতের বাবা সমীরকুমার দে অভিযোগ করেন, তঁার ছেলের মৃতু্য স্বাভাবিক নয়। রজতকে খুন করা হয়েছে।
The post ক্রাইমের বই পড়ে স্বামীকে খুনের ছক অনিন্দিতার! appeared first on Sangbad Pratidin.